টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ৭৮ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় গুলিবর্ষণের মাধ্যমে সংঘটিত এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের মূল হোতা সাগর বারুইকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাগর বারুই গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা এবং সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের একজন অস্ত্রধারী সদস্য বা ‘শুটার’ হিসেবে পরিচিত। পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক অপরাধের মামলা রয়েছে। তাকে টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গত ২২ মার্চ সন্ধ্যায় মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল পাঁচগাঁও এলাকায় ব্যবসায়ীদের বহনকারী একটি প্রাইভেট কার থামিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে ডাকাত দল ৭৮ লাখ টাকা লুট করে। পরদিন (২৩ মার্চ) মির্জাপুর থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর থেকে পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার একাধিক টিম ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে ১১ এপ্রিল ঢাকার হাজারীবাগ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসসহ চালক মিলনকে (৪৬) গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা ও মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয়। পরে ৬ দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পরবর্তী পর্যায়ে, ১৮ এপ্রিল ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ডাকাত দলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ ইসমাইল হোসেন মামুনকে (৫০)। তিনি রাজবাড়ী জেলার বাসিন্দা। মামুনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মির্জাপুরের বেলতৈল এলাকা থেকে ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এখন পর্যন্ত তিনজন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি ম্যাগাজিনসহ ১৭ রাউন্ড গুলি, নগদ ৩ লাখ ১২ হাজার টাকা, তিনটি মোটরসাইকেল ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হলেও পুলিশের তৎপরতায় আশার আলো দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।