ঈদুল আযহার প্রাক্কালে ভোজ্যপণ্য কিনতে গিয়ে নতুন চাপে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এক মাসের ব্যবধানে ভোজ্যতেল, মসুর ডাল ও চিনির দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়িয়েছে।
টিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নতুন দামে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) থেকে সারাদেশে ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হবে।
এবার প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৩৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৩৫ টাকা, মসুর ডালের দাম ২০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকা প্রতি কেজি এবং চিনি ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮৫ টাকায় বিক্রি করা হবে।
টিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশজুড়ে প্রতিদিন ৬৯০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় থাকবে ৫০টি, চট্টগ্রামে ২০টি এবং বিভাগীয় শহরগুলোতে ১০টি করে ট্রাক। বাকি ৫৬টি জেলা শহরে ১০টি করে ট্রাকের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বিশেষ এই বিক্রয় কার্যক্রম চলবে ২২ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত, শুক্রবার ও অন্যান্য ছুটির দিনেও ট্রাকসেল চালু থাকবে।
এবারের কার্যক্রমে শুধু স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীরাই নন, বরং যে কোনো সাধারণ ভোক্তাও ট্রাক থেকে ঈদের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবেন। তবে ভর্তুকিমূল্যে নয়, তাদেরকে নির্ধারিত (বর্ধিত) দামে পণ্য কিনতে হবে।
দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ চরম হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ঈদ সামনে রেখে এই দাম বৃদ্ধিকে ‘অযৌক্তিক ও অমানবিক’ বলেও মন্তব্য করছেন অনেকে।
সরকারি পর্যায়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার এমন পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হবে—সে প্রশ্নও তুলছেন অর্থনীতিবিদ ও বাজার বিশ্লেষকরা।