গ্রীষ্ম মানেই ফলের রাজা আমের মৌসুম। সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটি ছোট-বড় সকলেরই প্রিয়। তবে অধিক মিষ্টির কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেকেই আম খেতে ভয় পান। চিকিৎসকরা বলছেন, কিছু নিয়ম মেনে আম খেলেও ডায়াবেটিস রোগীদের কোনো ক্ষতি হয় না। বরং সঠিক সময়ে, সঠিক পদ্ধতিতে খেলে আম উপকারীও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকা আমে প্রাকৃতিক চিনি ও উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) থাকায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়াতে পারে। তাই একসঙ্গে বেশি আম না খেয়ে, তা ভাগ করে সকালে ও বিকেলে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। একটি বড় আম পুরোটা একবারে না খেয়ে দু’বারে খাওয়া যেতে পারে।
রাতের খাবারের পর আম খাওয়ার অভ্যাস অনেকের থাকলেও, চিকিৎসকরা একে নিরুৎসাহিত করছেন। কারণ রাতে আম খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। ভারী খাবারের পরেও আম না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আম খাওয়ার সঠিক সময় হলো সকালের হালকা নাশতা ও দুপুরের খাবারের মাঝামাঝি সময়। বিশেষ করে খালি পেটে বা হালকা কিছু খেয়ে আম খাওয়া যেতে পারে। তবে আমের জুস বা পুডিং নয়, গোটা আম কেটে ফল হিসেবে খাওয়াই ভালো। প্রক্রিয়াজাত মিষ্টি আমের খাবারগুলোতে বাড়তি চিনি থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
অন্যদিকে, শসার সঙ্গে আম খেলে গ্লুকোজ নিঃসরণ ধীরে হয়, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়ে না। এটি একটি কার্যকর উপায় হতে পারে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য।
সবশেষে, বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন—যেকোনো খাদ্য গ্রহণের আগে শরীরের অবস্থা অনুযায়ী পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি। পাশাপাশি নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তাই নিয়ম মেনে আম খান, সুস্থ থাকুন।