রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের চন্দনী গ্রামে ঘটে গেছে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা। শনিবার গভীর রাতে সশস্ত্র সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দল স্থানীয় ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুটে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাত আনুমানিক ১টার দিকে ডাকাত দল বাড়ির সীমানা প্রাচীরের উপর বসানো তারকাটা কেটে এবং পশ্চিম পাশের দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা লোহার কেচিগেটের তালা ভেঙে মূল ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ে। ডাকাতদের সংখ্যা ছিল প্রায় ১০-১৫ জন। প্রত্যেকেই অস্ত্রধারী ছিল এবং মুখে কাপড় বাঁধা অবস্থায় দ্রুতগতিতে পুরো বাড়িতে তাণ্ডব চালায়।
ঘরে ঢুকে তারা বাড়ির মালিক বিশ্বনাথ বিশ্বাসকে নির্মমভাবে মারধর করে। তার মাথায় আঘাত গুরুতর হওয়ায় দ্রুত ঢাকায় প্রেরণ করা হয় এবং বর্তমানে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ডাকাত দলের হাতে তার স্ত্রী হেনা বিশ্বাস ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও রেহাই পাননি। হেনা বিশ্বাস জানান, ডাকাতরা তার চোখ ও মুখ বেঁধে রাখে এবং বিভিন্ন ঘরে লুকিয়ে রাখা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়।
ডাকাতি চলে টানা প্রায় দেড় ঘণ্টা, রাত ১টা থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। ঘটনাটি স্থানীয় এলাকায় চরম আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, “আমরা এখনও ঘটনাস্থলে আছি, ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মূলত বাড়ির মহিলাদের স্বর্ণালঙ্কারই ডাকাতদের প্রধান লক্ষ্য ছিল। আহত ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ বিশ্বাস বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন। আমরা ডাকাত চক্রকে শনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
এদিকে, এমন ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা দ্রুত ডাকাতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।