মুন্সীগঞ্জ সদরের মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের চরআব্দুল্লাহ এলাকায় ইজারাকৃত বালুমহালের শ্রমিকদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একটি ড্রেজারে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে।
আহতদের মধ্যে মো. মোস্তফা (৫৫) নামে এক শ্রমিককে মুন্সীগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বালুমহাল ইজারা দেওয়া হলেও নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে গ্রামসংলগ্ন নদী এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। এতে নদীতীরবর্তী ফসলি জমি ও বসতভিটা হুমকিতে পড়ায় গ্রামবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এরই জেরে বৃহস্পতিবার সকালে সংঘবদ্ধ হয়ে গ্রামবাসী ড্রেজার ঘাঁটিতে হামলা চালান এবং শ্রমিকদের মারধর করেন। একপর্যায়ে তারা একটি ড্রেজারে আগুন ধরিয়ে দেন।
চরআব্দুল্লাহ বালুমহালের ইজারাদার মো. মনিরুজ্জামান মনির দাবি করেন, “আমরা প্রশাসনের নির্ধারিত সীমানার মধ্যেই বালু উত্তোলন করছি। কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি গ্রামবাসীকে উস্কে দিয়ে হামলা চালিয়েছেন।”
এদিকে চরআব্দুল্লাহ গ্রামের বাসিন্দা মো. নুরে আলম সাগর জানান, “ইজারা হয়েছে ভাসানচর মৌজায়, অথচ তারা চরআব্দুল্লাহ মৌজার ভেতরে ঢুকে আমাদের চার একর রেকর্ডীয় জমির পাশে বালু কাটছে। এতে ভাঙনের শঙ্কায় আমরা বাধ্য হয়ে প্রতিরোধ করেছি।”
ঘটনার বিষয়ে চরআব্দুল্লাহ নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুব আলম বলেন, “গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ড্রেজারে হামলা চালায়। এতে কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন এবং একটি ড্রেজারে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। নৌ-পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”
এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি, তবে প্রশাসন বলছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।