1. njnaimofficial@gmail.com : Naim Sheikh : Naim Sheikh
  2. biswass443@gmail.com : Sumon Biswas : Sumon Biswas
  3. admin@rajbariexpress.com : Rajbari Express :
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন
  •                          

রাজবাড়ী এক্সপ্রেস ইপেপার

ঘোষণা:
জাতীয় অনলাইন গনমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।

জমি দখলে রাখতে মন্দিরকে ব্যবহার করার অভিযোগ !

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫
  • ৭৪ মোট পাঠক

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের মালিয়াট গ্রামের (বাঙ্গালপাড়া -কামারপাড়া) নামক স্থানে জমি দখলে রাখতে হটাৎ করে মন্দির নির্মাণ করে জমি দখলে নেওয়ার অপচেষ্ঠার অভিযোগ করেছেন ক্রয়কৃত জমির মালিক ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডলের ছেলে পরিতোষ কুমার মন্ডল ও তার পরিবার।

পরিতোষ কুমার মন্ডল বলেন- প্রায় ৪০ বছর আগে আমার বাবা ক্ষিতিশ কুমার মন্ডল আর এস এর মালিক হৃদয় নাথ, নেপাল ও যতিন তাদের একজন মালিক হৃদয় নাথের নিকট থেকে জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পরে আমাদের জমি রের্কড ঠিকমত না হওয়ায় আমরা তা রের্কড সংশোধনীর মামলা দায়ের করেছি। যার মামলা নং-২৭১/২৩। মামলাটি রাজবাড়ীর আদালতে চলমান রয়েছে।

এদিকে আমাদের জমি দখলে নেওয়ার পায়তারা করে আসছে আমাদের প্রতিবেশী একই গ্রামের গরুপদ, কৃষ্ণপদ, শ্যামা পদ, উজ্জল, গৌতমসহ বেশ কয়েকজন তারা সকলে মিলে নানা ভাবে আমাদের হয়রানী করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী বাহিনীসহ বিভিন্ন লোক মারফাত আমাদের হুমকি দিয়ে আসছে। আমাদের যে জমি রের্কড হয়নি তা খাস ক্ষতিয়ানে চলে যাওয়ায় আমরা সরকারের বিপক্ষে মামলা করেছি সেই খাস জমিতে একটি মন্দির স্থাপন করে জমি দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

এ জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ২ বছর আগে কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান, একাধিক মাতুব্বার,স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের সমন্নয়ে একটি শালিশের মাধ্যমে বিষয়টা মিমাংসার উদ্দ্যোগ নেওয়া হলে গরুপদ, কৃষ্ণপদ,শ্যামা পদ,উজ্জল,গৌতমরা তা মানেনি, তখন ক্ষমতা আর অর্থের প্রভাব খাটিয়ে শালিশ না মেনে সেখানে নাম মাত্র একটি মন্দির নির্মান করা হয়। আর ধর্মীয় অনুভ’তি কাজে লাগিয়ে ওই জমি দখলে রাখার অপচেষ্টায় নানা বাহানা চালিয়ে যাচ্ছে এখনো।

বিগত দূর্গা উৎসবে এ জায়গা  নিয়ে ব্যাপক বিশৃংঘলা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা তখন পাংশা উপজেলার নির্বাহী অফিসার, পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, তৎকালীন পাংশা ডাক বাংলোয় অবস্থান করা পাংশা সেনা ক্যাম্পের সেনা সদস্যদের হস্তক্ষেপে শান্তিপূন্য উৎসব পালিত হয়েছিল। এদিকে পরিতোষ কুমার মন্ডল ও তার পরিবার শস্কা করছেন সামনে পুজার সময় তারা পূনরায় ধর্মীয় অনুভ’তিকে সামনে রেখে পূনরায় গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি করতে পারে এ জন্য প্রশাসনসহ সকল আইন শৃংঘলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।

শনিবার দুপুরে সরে জমিনে গিয়ে দেখাযায় শ্যামাপদ’র ঘরের ঠিক পিছনে একটি  কাচা মন্দির নির্মিত রয়েছে মন্দিরের পাশে পুরাতন বেশ কিছু নানা প্রজাতির গাছ রয়েছে এর মধ্যে নারিকেল গাছও আছে, নানা অযুহাতে মন্দিরের পাশ থেকে গাছ কাটার পায়তারা করে তারা এবং মন্দির বাচানোর নামে দখল করার পায়তারা রয়েছে তাদের।

খোজ নিয়ে জানাগেছে খাস বা সরকারি জায়গায় এমন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ-মন্দির করার বিধান নেই, শুধু মাত্র ধর্মীয় অনুভ’তি কাজে লাগিয়ে জমি দখলের চেষ্ঠা মাত্র বলে জানান স্থানীয় একাধিক লোকজন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক যুবক বলেন শ্যামা পদরা টাকার গরমে মানুষকে মূল্যায়ন করে না তাদের এক ভাতিজা ইতালিতে থাকেন  তদের টাকার অভাব নেই, স্থানীয় কিছু নামধারী মাস্তানদের দিয়ে বিভিন্ন সময় ভয় ভীতির মধ্যে রাখেন,এরা এলাকার মানুষের শালিশও মানে না।

শ্যামা পদকে নিয়ে অভিযোগ উঠেছে খাস জমিতে মন্দির এটাকে নিজের জমির উপর বলে প্রতিবেদন নেওয়ার জন্য ভ’মি অফিসসহ বিভিন্ন মহলে তদবির করছেন, এই তদবিরের পিছনে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন প্রভাব বিস্তার করছে বলেও জানা গেছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শ্যামাপদ’র বাড়ীতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি, পাংশা বাজারে উজ্জলের ঔষুধের দোকানেও তাদের দেখা মেলেনি শ্যামাপদ’র মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কল না যাওয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে কসবামাজাইল ইউনিয়ন ভ’মি অফিসের সদ্য বদলী হওয়া ইউনিয়ন ভ’মি সহকারী কর্মকর্তা শ্রী রতন কুমার বলেন-বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হয়েছে, ওই মন্দিরটি খাস জমিতে রয়েছে, তবে খাস বা সরকারি জমিতে মন্দির হওয়ার সুযোগ নেই। 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরও খবর

সাবস্ক্রাইব

Please enable JavaScript in your browser to complete this form.
Name

© All rights reserved Rajbari Express © 2025

এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অথবা অডিও

অনুমতি ছাড়া ব্যাবহার বে-আইনি।