প্রায় তিন মাস পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত ওয়াসিম আকরামের লাশ ফেরত পেয়েছে তার পরিবার। আজ শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের যৌথ বৈঠকের মাধ্যমে লাশটি হস্তান্তর করা হয়।
নিহত ওয়াসিম আকরাম (২৬) ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল ওয়াসিম সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে নিহত হন। ঘটনার চার থেকে পাঁচ দিন আগে তিনি কয়েকজন সঙ্গীর সঙ্গে সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন। তবে অন্যরা পালিয়ে গেলেও ওয়াসিম বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন।
পরে ১১ এপ্রিল ভারতের ইছামতী নদীর পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই সময় সীমান্তের বাংলাদেশ অংশ থেকে ওয়াসিমের বাবা রমজান আলী ছেলের মরদেহ শনাক্ত করেন। এরপর তিনি লাশ ফেরত চেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে আবেদন করেন।
বিজিবির ঝিনাইদহ-৫৮ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মুন্সী ইমদাদুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে একাধিকবার পতাকা বৈঠক হয়। পরে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে বিএসএফ লাশ ফেরত দিতে সম্মত হয়।
আজ দুপুরে মহেশপুর সীমান্তের মেইন পিলার ৬০-এর কাছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, পুলিশ এবং নিহতের স্বজনদের উপস্থিতিতে লাশ হস্তান্তর করা হয়। ওয়াসিমের বাবা রমজান আলী ও বড় ভাই মেহেদী হাসান লাশ গ্রহণ করেন।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, দুপুর দেড়টার দিকে নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ভারতের পাঠানো কাগজপত্রের মধ্যে একটি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনও ছিল। সেখানে বলা হয়েছে, ওয়াসিম পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
তবে এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী, ওয়াসিম বিএসএফের গুলিতে নিহত হন এবং লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।