কুমিল্লা: প্রবাসী এক যুবকের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় পড়লে নিহত হয়েছেন তার বড় ভাই ও এক প্রতিবেশী। আহত হয়েছেন আরও একজন।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন কুমিল্লার তালুকদারপাড়া গ্রামের মো. বাবুল (৩২) ও ওসমান মিয়া (৪০)। আহত ব্যক্তি একই গ্রামের বাসিন্দা বশির মিয়া (৩০)। তিনি বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সৌদি আরবে কর্মরত অবস্থায় এক বছর আগে মারা যান মো. রুবেল নামের এক প্রবাসী। শনিবার দুপুরে তার মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়। বিমানবন্দর থেকে রুবেলের লাশবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে পরিবারের সদস্যরা গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। বিকেল ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা এলাকায় পৌঁছালে একটি দাঁড়িয়ে থাকা লড়ি ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা মারে অ্যাম্বুলেন্সটি।
তীব্র ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই রুবেলের বড় ভাই বাবুল ও প্রতিবেশী ওসমান মিয়া মারা যান। গুরুতর আহত হন বশির মিয়া। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাইওয়ে পুলিশের মিয়াবাজার থানার ইনচার্জ মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, “দুর্ঘটনার পর অ্যাম্বুলেন্স ও লড়ির চালক পালিয়ে যায়। যানবাহন দুটি জব্দ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়কে নিয়ম না মেনে লড়ি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকায় প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো গ্রামে। এক বছর পর প্রবাসীর লাশ ফেরত এলেও পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে রুবেলের স্বজনরা চরম শোক ও বিভ্রান্তিতে পড়েছেন।