বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে এবং স্বৈরাচারীদের নিরাপদে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। তিনি এই মন্তব্য করেন শুক্রবার (৯ মে) রাজধানীর খামারবাড়ির বার্ক মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ইস্টার পুনর্মিলনী ও শুভেচ্ছা বিনিময়’ অনুষ্ঠানে।
বাংলাদেশ খ্রিষ্টান ফোরাম আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তারেক রহমান বলেন, “৫ আগস্ট যেভাবে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, সেভাবেই আব্দুল হামিদ পালিয়েছে। অথচ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দাবি করছে, তারা এ বিষয়ে কিছু জানে না। এতে জনগণের মধ্যে গভীর সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।”
তিনি বলেন, “সরকার যে সংস্কারের নামে কাজ করছে, তা প্রকৃতপক্ষে সময়ক্ষেপণের কৌশল। এই কৌশলের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরানো হচ্ছে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগকে আবার রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে ফিরিয়ে আনার প্রয়াস চলছে।”
তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলেন, “দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়, দেশটা জনগণের। গত দেড় দশক ধরে ফ্যাসিবাদী শাসনের যে নির্মম বাস্তবতা জনগণ দেখেছে, তার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সে জন্যই সংবিধান সংস্কার এখন সময়ের দাবি।”
তিনি বলেন, “সংবিধানকে আওয়ামী লীগ দলীয় দলিল বানিয়ে ফেলেছিল। আমরা চাই একটি গণতান্ত্রিক, দায়বদ্ধ ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হোক। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপির সমর্থন রয়েছে, তবে সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ড এই সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, এবিএম আব্দুস সাত্তার, ফজলুল হক মিলন এবং বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বক্তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সব সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার আহ্বান জানান।