ভারতে চলমান আইপিএল (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) আসর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে পড়েছে নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে, আর সেই সঙ্গে দ্রুত দেশে ফেরার উদ্যোগ নিচ্ছেন টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া বিদেশি ক্রিকেটাররা। পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচ নিরাপত্তাজনিত কারণে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার রাতে ধর্মশালার সেই ঘটনার পর থেকেই কয়েকটি দল ছিন্নভিন্ন হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া পোর্টাল ইএসপিএন ক্রিকইনফো। জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও অন্যান্য দেশের ক্রিকেটাররা পরবর্তী ফ্লাইটেই ভারত ছাড়তে মরিয়া। এরই মধ্যে অনেকেই নিজ নিজ দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং বিমান টিকিট বুক করতে শুরু করেছেন।
আইপিএলের একাধিক দলের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থা চাপে রয়েছে। যদিও তাঁরা সুস্থ ও নিরাপদ অবস্থায় আছেন, তবে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো তাঁদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমসের এক খবরে বলা হয়, এক কর্মকর্তার মতে, “খেলোয়াড়েরা বাইরে থেকে যতটা শান্ত দেখাচ্ছেন, ভেতরে ভেতরে তাঁদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ বিরাজ করছে।”
অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে, কিছু অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারের এজেন্টদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, তাঁরা ভারতে নিরাপত্তা নিয়ে বেশ চিন্তিত। এমনকি কয়েকজন ক্রিকেটার ইতোমধ্যে ভারতে থাকা পরিবারদের আগেভাগেই দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে বিসিসিআই (ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড) জানিয়ে দিয়েছে, খেলোয়াড়দের নিরাপদে দেশে পাঠানো এখন তাদের প্রধান অগ্রাধিকার। ফলে আইপিএল শিগগিরই পুনরায় মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে—আইপিএলের ভবিষ্যৎ কী? কেবল অর্থনীতি নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচিও এই সিদ্ধান্তে প্রভাবিত হতে পারে। ক্রিকেট বিশ্ব এখন বিসিসিআই এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলোর পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে।