রাজবাড়ী বিআরটিএ (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) অফিসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর আকস্মিক অভিযানে চারজন দালালের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
,বুধবার (৭ মে) দুপুরে ফরিদপুর অঞ্চল দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজ-এর নেতৃত্বে রাজবাড়ী বিআরটিএ কার্যালয়ে এই অভিযান পরিচালিত হয়। দুদকের সদস্যরা গ্রাহক সেজে সেবা নিতে গিয়ে দালালদের অনিয়ম ধরা পড়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে তাদের আটক করেন।
আটককৃতরা হলেন:আশিক খান, আকরামুজ্জামান, লিয়াকত আলী ও মুনসুর আলী।
আশিক খানের কাছ থেকে ৩৩,১০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। আকরামুজ্জামানের (সিল কন্ট্রাক্টর) কাছ থেকে ২৫,০৮০ টাকা পাওয়া যায়,লিয়াকত আলীর কাছ থেকে ১৪,৯৫০ টাকা জব্দ করা হয়। এছাড়া মুনসুর আলী গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন সেবার জন্য মোটা অংকের ঘুষ দাবি করতেন ।
দুদক জানায়, এসব দালালরা ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত, মৌখিক ও প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করছিলেন।
প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদক তাদেরকে রাজবাড়ী সদর থানায় হস্তান্তর করে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব প্রদান করে।
সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজ জানান, “সারাদেশব্যাপী পরিচালিত অভিযান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ রাজবাড়ী বিআরটিএ অফিসে অভিযান চালানো হয়। আমাদের টিম গ্রাহক সেজে সেবা নিতে গিয়ে দালালদের কাছ থেকে অনিয়মের প্রমাণ পায়। এরপর চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে অনিয়মের সত্যতা নিশ্চিত হয়।”
দুদক আরও জানায়, অভিযুক্তদের বিষয়ে বিআরটিএ’র প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। এসব কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে, এবং সেই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।