বগুড়া, ৬ মে ২০২৫ — আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নির্যাতন ও গর্ভপাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলাকে ‘প্রতিহিংসামূলক’ বলে দাবি করেছেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়ার এরুলিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম দাবি করেন, তার তৃতীয় স্ত্রী রিয়া মনি তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার পর প্রতিশোধমূলকভাবে অপর এক নারীকে দিয়ে এ মামলা করিয়েছেন।
মামলায় হিরো আলম ছাড়াও আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। বাদী নারীর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও নায়িকা বানানোর আশ্বাস দিয়ে হিরো আলম একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেন এবং পরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গর্ভপাতের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও বগুড়া পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, “এই মামলা মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রিয়া মনি আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছে, তোকে জেল খাটাব। সে-ই এখন অন্য এক মেয়েকে সামনে এনে নাটক করছে।” তিনি আরও বলেন, “যদি ধর্ষণ ও গর্ভপাতের প্রমাণ দেখাতে পারে, তাহলে আমি শাস্তি মাথা পেতে নেব। আর প্রমাণ না করতে পারলে আমি তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।”
বাদী নারীর সম্পর্কে হিরো আলম বলেন, তিনি মিডিয়ার কেউ নন, বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জননী। কিছুদিন আগে ওই নারী তার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলেন এবং তার বাবার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাতায়াত করতেন।
অভিযোগে বাদী নারী জানিয়েছেন, হিরো আলম তার কাছ থেকে সিনেমা তৈরির নাম করে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ধার নেন। এ বিষয়ে হিরো আলমের বক্তব্য, “সে যদি ১৫ লাখ টাকার মালিক হতো, তাহলে দুই মাস আমার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হয়ে থাকত না।”
সংবাদ সম্মেলনের শেষে হিরো আলম আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানান এবং প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের দাবি জানান।
এই ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকেই নিরপেক্ষ তদন্ত এবং বিচার ব্যবস্থার সঠিক প্রয়োগের দাবি জানাচ্ছেন।