রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আসলাম মিয়া বলেছেন, চাঁদাবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে দলেরই একজন নেতা মনোনয়ন কিনতে চান। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বিএনপির জন্য যে পরিমাণ অর্থনৈতিক ত্যাগ স্বীকার করেছি, তা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। কিন্তু আমাদের দলেরই একজন ব্যক্তি ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা তুলে নিয়ে এখন সেই টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনতে চান। এমনকি দলের বিরুদ্ধেই নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড়ে স্বপ্তবর্ণা সুপার মার্কেটের সামনে শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আসলাম মিয়া আরও বলেন, গণতন্ত্রের মা দেশে ফিরেছেন, মানুষ এখন তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আশায় আশাবাদী। তারেক রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ১৫ বছর লড়াই-সংগ্রামের পর জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট শাসক শেখ হাসিনা জুডিশিয়াল ও মেডিকেল কিলিংয়ের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে হত্যাচেষ্টা চালিয়েছিলেন। তবে আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন এবং সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে এসেছেন, যা দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, ধান্দাবাজি থেকে দূরে থাকুন। দলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করবেন না। আমাকে সহযোগিতা করুন, আমি আপনাদের পাশে থাকবো।
রাজবাড়ী জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সহসভাপতি মো. আব্দুল জলিল শেখের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম মেহেদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. লিয়াকত আলী বাবু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজবাড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি গোলাম কাশেম, গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন শেখ, সাধারণ সম্পাদক মোশারফ আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল মালেক, গোয়ালন্দ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবর রহমান মজি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবু সাঈদ মণ্ডল, ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মোক্তার হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ শ্রমিক ও পেশাজীবীরা অংশ নেন।