রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় চাঁদা না দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের মালঞ্চি ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন—পাংশা পৌরসভার নারায়ণপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৩৫), তার সহযোগী খান্দুয়া গ্রামের মামুন সরদার (২৮) এবং বাবুপাড়া ইউনিয়নের হাজরাপাড়া গ্রামের অ্যাম্বুলেন্স চালক শিপন মোল্লা (২৫)। তারা পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন।
ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, ২০-২২ দিন আগে মালঞ্চি গ্রামের জনি মুনসীর পুকুরের মাটি কিনে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে রাজু বিশ্বাস ও খয়বর ওরফে খয়রা’র নেতৃত্বে ৮-১০ জন তাদের মাটি বহনকারী গাড়ি আটকে দেন। খবর পেয়ে শফিকুল ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্তরা তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা তাকে মারধর করে।
শফিকুল বলেন, “রাজু কাঠের চলা দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করতে গেলে আমি হাত দিয়ে তা প্রতিহত করি। খয়রা বাঁশ দিয়ে আমার পিঠে আঘাত করে। এতে আমার ডান হাতে ও পিঠে জখম হয়।”
এ ঘটনার জের ধরে ওই দিন সন্ধ্যায় মামুন সরদার ও শিপন মোল্লাকেও মারধর করে অভিযুক্তরা। এতে মামুনের পায়ের গোড়ালি ফেটে যায় এবং শিপনের পায়ে ও হাতে আঘাত লাগে।
আহত শফিকুল জানান, অভিযুক্ত রাজু বিশ্বাস ও তার সহযোগীরা এখন তাকে নানাভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। নিরাপত্তাহীনতায় তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
অভিযোগের বিষয়ে রাজু বিশ্বাসের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত আছি। এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”