ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গবেষণার পরিসর বাড়ানো এবং তা জাতীয় কল্যাণে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (৩০ জুন) এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এই আহ্বান জানান।
এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’-কে সময়োপযোগী উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বিশ্বায়ন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে উদ্ভাবনী গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আমি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন গবেষণার পরিসর বাড়ায় এবং অর্জিত জ্ঞান দেশের জনগণের কল্যাণে কাজে লাগায়।”
তিনি বলেন, “সততা ও নৈতিকতা সমুন্নত রেখে অর্জিত জ্ঞানের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে কার্যকর অবদান রাখবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসকে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, জুলাই অভ্যুত্থানসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।”
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বৈষম্যহীন ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দেশকে পুনর্গঠনের জন্য আমাদের দরকার মানবিকতা, উদারতা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ দক্ষ মানবসম্পদ। এ লক্ষ্য অর্জনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও সক্রিয় হতে হবে।”
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আগামীকাল (১ জুলাই) নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তার ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করবে।