রাজবাড়ীর পাংশা পৌর শহরের পারনারায়ণপুরে অবস্থিত বাইতুল উলুম বালক হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং নিয়ে চলছে গভীর ষড়যন্ত্র। মাদ্রাসার প্রধানকে হুমকি দিয়ে প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করতে বলেছেন ওই এলাকার প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আইনের সহায়তা নেবেন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ফারুখ হোসেন।
২০১৭ সালে পাংশা শহরের পারনারায়ণপুর গ্রামে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন ফারুখ হোসেন। শুরু থেকেই একটি মহল এ প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ধর্মীয় কার্যক্রমে নানা বাধা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মেজবাহুল ইসলাম ও ছয়জন শিক্ষকের সঙ্গে কথা হয়। মুফতি মেজবাহুল ইসলাম বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠান বাইতুল উলুম বালক হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং-এ বর্তমানে ৭ জন শিক্ষক রয়েছেন, শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০০-এর বেশি। এখানে মক্তব, নাজেরা, হিফজ শাখা ও কিতাবখানা চালু রয়েছে। বিগত দুই জুমায় মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ২-১ জন ব্যক্তি কথা বলছিলেন। তারা বলছেন এখানে আর মাদ্রাসা চলবে না। এমনকি গত শুক্রবারের মধ্যে সব কিছু সরিয়ে নিতে আমাকে হুমকি দেন একই এলাকার আইয়ুব আলী শেখ নামে এক ব্যক্তি। অথচ তিনি মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটিতেও নেই। শুধুমাত্র পরিচালক ফারুখ সাহেবকে উচ্ছেদ করতেই এসব অপচেষ্টা করছেন।”
মাদ্রাসার পরিচালক মোঃ ফারুখ হোসেন বলেন, “আমরা নিজস্ব জমিতে এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছি দ্বীনের খেদমতের জন্য। শুরু থেকেই আইয়ুব আলী শেখ বাধা দিয়ে আসছিলেন। ২০১৮ সালে মসজিদ ভেঙে দিয়েছিলেন। এখন আবার কিছু স্থানীয় লোকের কুপরামর্শে তিনি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছেন। অথচ তিনি এই প্রতিষ্ঠানের কেউ নন, পরিচালনা কমিটিতেও তাঁর কোনো স্থান নেই। শুধু শক্তির প্রভাব খাটিয়ে একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পাঁয়তারা করছেন। এর প্রতিবাদে আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হব।”
আইয়ুব আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁকে বাসায় পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনেও তাঁকে পাওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, “এ এলাকায় একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় আশেপাশের গ্রামের ছোট ছোট শিশু, এতিম শিক্ষার্থীরা দ্বীনি শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানের জন্য আমরা এলাকাবাসী সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে যাব। এ প্রতিষ্ঠান এলাকাবাসীর নাজাতের উসিলা হতে পারে।”