যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৯তম স্বাধীনতা দিবসে হোয়াইট হাউসে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’-এ সই করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আইনের মাধ্যমে করছাড় সম্প্রসারণ, সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি ও অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি আনার লক্ষ্যে বিশাল বাজেট বরাদ্দের পথ সুগম হলো।
স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প প্রতীকীভাবে একটি গ্যাভেল বা বিচারকের হাতুড়ি উঁচিয়ে বলেন, ‘আমেরিকা জিতছে, বারবার জিতছে—যেভাবে আগে কখনো জেতেনি।’
বিলটি নিয়ে ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টিতেও ব্যাপক বিতর্ক ছিল। কংগ্রেসের দুই কক্ষে নাটকীয় ভোটাভুটির পর খুব অল্প ব্যবধানে বিলটি পাস হয়—সিনেটে ৫১-৫০ এবং প্রতিনিধি পরিষদে ২১৮-২১৪ ভোটে।
অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের পাশে ছিলেন স্পিকার মাইক জনসনসহ রিপাবলিকান নেতারা, যারা বিলটিকে ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল’ আখ্যা দিয়ে স্বাগত জানান।
বিলটিকে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অন্যতম বড় বাস্তবায়ন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতে রয়েছে:
তবে রিপাবলিকান শিবিরের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, বিলটির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের বোঝা বাড়বে এবং স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে বড় কাটছাঁট করতে হতে পারে।
ট্রাম্প অবশ্য জনমনে আশ্বস্তি ছড়াতে চেয়েছেন। অনুষ্ঠানে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারি ব্যয়ে যতই বড় কাটছাঁট হোক না কেন, সাধারণ মানুষ এর কোনো প্রভাব বুঝতেই পারবেন না।’
এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর বি-২ বোমারু বিমানসহ যুদ্ধবিমানের প্রদর্শনী। সম্প্রতি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলায় ব্যবহৃত এই বিমান ও পাইলটদেরও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বিল ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে এবং তিনি এটিকে একটি ‘নৈতিক বিজয়’ হিসেবে কাজে লাগাতে চাইবেন।
সূত্র: হোয়াইট হাউস প্রেস ব্রিফিং, কংগ্রেস ভোট রেকর্ড, স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণ।