বাংলাদেশের তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের দারুণ বোলিংয়ে ভর করে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)-এর ফাইনালে উঠেছে লাহোর কালান্দার্স। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে ৯৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ থাকলেও মূল আলোচনায় ছিলেন রিশাদ, যিনি ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা লাহোর নির্ধারিত ২০ ওভারে তোলে ৮ উইকেটে ২০২ রান। ইনিংসের ভিত্তি গড়েন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও কুশল পেরেরা। নাঈম খেলেন ২৫ বলে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস, মারেন ৭ চার ও ২ ছয়। আর কুশল পেরেরা ৩৫ বলে করেন ৬১ রান, তাতেও ছিল ৭ চার ও ২ ছয়।
তবে মিডল অর্ডারে ব্যর্থ ছিলেন অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান। আট নম্বরে নেমে ২ বল খেলে কোনো রান না করেই ফিরে যান তিনি। রিশাদ ব্যাট হাতে ৫ রান করলেও, তাঁর মূল কাজ ছিল বল হাতে—সেখানে তিনি শতভাগ সফল।
বোলিংয়ে নেমে শুরুতেই আঘাত হানেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ শেহজাদকে। এরপর সালমান মির্জা তুলে নেন শাহিবজাদা ফারহান, র্যাসি ফন ডার ডুসেন ও ইমাদ ওয়াসিমের মূল্যবান উইকেট। মাত্র ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে লাহোরের জন্য বড় অবদান রাখেন তিনি।
এরপরই মঞ্চে রিশাদ হোসেন। চাপ সামলে দাঁড়াতে শুরু করেছিল ইসলামাবাদ, তবে রিশাদের ঘূর্ণিতে এল নতুন ধস। একে একে ফেরান সালমান আগা, শাদাব খান ও জিমি নিশামকে। ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে তিনি কার্যত শেষ করে দেন ইসলামাবাদের আশা।
ইনিংসের শেষদিকে ফিরে এসে বাকি দুটি উইকেট তুলে নেন শাহিন আফ্রিদি। তিনি ৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের অন্যতম সেরা পারফর্মার হয়ে ওঠেন।
ইসলামাবাদ ১৫.১ ওভারে গুটিয়ে যায় মাত্র ১০৭ রানে। ৯৫ রানের বড় জয়ে ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করে লাহোর কালান্দার্স।
বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এটি ছিল বিশেষ এক রাত। সাকিব কিংবা মিরাজ নয়, আলো ছড়ালেন তরুণ রিশাদ হোসেন, যিনি প্রমাণ করে দিলেন ভবিষ্যতের বাংলাদেশ দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে প্রস্তুত তিনি।