রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা জোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শামসুল আলম ও নাইট গার্ড ইসরাইল গত দুই মাস ধরে উধাও রয়েছেন। তবে এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে উপজেলা শিক্ষা অফিস; নেয়নি কোনো ব্যবস্থা।
জানা গেছে, গত ৩ মে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের যুবক রাশিদুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এরপর থেকেই ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও নাইট গার্ড পলাতক রয়েছেন।
অন্যদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শামসুল আলমের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক নজরুল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষককে অনৈতিকভাবে শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগ করে দেওয়া, সহকারী শিক্ষক পপি রানির নিবন্ধন জাল প্রমাণিত হওয়ার পরেও তাকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে পাঠদানের সুযোগ করে দেওয়া—এমন বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে পাট্টা জোনা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক ও নাইট গার্ড প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যালয়ে আসছেন না। তারা কোনো ছুটি নিয়েছেন কি না সে বিষয়েও বিদ্যালয়ে কোনো তথ্য নেই।
বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে নাইট গার্ড ইসরাইলের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পাট্টা জোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শামসুল আলম বলেন, “আমি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছ থেকে ছুটি নিয়েছি, স্যারের সঙ্গে আমার প্রতিদিনই কথা হয়। গতকাল এবং আজও দেখা করেছি।” বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক প্রাইভেট পড়ান, এটা নিয়মের মধ্যেই আছে।”
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আপনি আগে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন, তিনি কী বলেন সেটা জানার পরে আমাকে ফোন দিন, তারপর আমি বলব।”
প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে আবারও প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “প্রধান শিক্ষক আমার কাছ থেকে কোনো ছুটি নেননি।” তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”