নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজবাড়ীতে রেলওয়ের রানিং স্টাফদের পার্ট অব পে-মাইলেজ যোগে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদান বন্ধের সিদ্ধ্যান্ত প্রত্যাহার এবং নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত রানিং স্টাফদের নিয়োগ পত্রের বৈষম্যমূলক শর্ত বাতিল করে রেলওয়ে কোড ও বিধি -বিধানের আলোকে আদেশ জারীর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রেলওয়ে স্টেশনে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা। সমাবেশে বক্তব্য দেন, রাজবাড়ী রেলওয়ের রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুর রহমান খান, মো. ওহিদুল আলম, সাব লোকোমাস্টার অসীম হালদার, মাইনুল ইসলাম।
এসময় বক্তারা বলেন, গত বৃহস্পতিবার অর্থ বিভাগের একটি চিঠিতে জানানো হয়েছে চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়মিত অ্যালাউন্স ছাড়া অন্য কোন ভাতা পাবেন না রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। কিন্তু আমরা রানিং স্টাফরা ( ট্রেনের চালক, সহকারী চালক, গার্ড ও টিকিট পরিদর্শক) ১৯৬২ সাল থেকে এই সুবিধা পেয়ে আসছি। দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বেসিকের (মূল বেতন) হিসাবে বাড়তি অর্থ পেতাম। এছাড়া অবসরের পর বেসিকের সঙ্গে এর ৭৫ শতাংশ অর্থ যোগ করে অবসরকালীন অর্থের হিসাব হতো। ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর এই সুবিধা সীমিত করে অর্থ বিভাগ। এখন এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা তার পর থেকেই এটি পুনরায় চালু করার জন্য আন্দোলন করে আচ্ছি। চালু না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
বক্তারা বলেন, যদি আগামি ২৭ জানুয়ারির মধ্যে আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয় তাহলে ২৮ জানুয়ারি থেকে আমরা কর্মবিরতিতে যাবো। আমরা সারা দেশে রেল চলাচল বন্ধ করে দেব। এটাই আমাদের শেষ বক্তব্য।