রাজবাড়ী প্রতিনিধি ॥
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে বালু কেটে প্রকাশ্যে দিনে রাতে বিক্রি করছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে বালু ও মাটি বিক্রি করায় বিপাকে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্ধারা। ধুলাবালিতে তাদের বসবাস করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন দৌলতদিয়া ৭নম্বর ফেরি ঘাট, চরকর্ণেশন, আক্কাস আলী হাই স্কুল, কলাবাগান এলাকার পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে ও ভেকু দিয়ে বালু ও মাটি কাটতে দেখা যায়। সেখান থেকে ট্রাকে করে মাটি ও বালু বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। সড়কে বালু ও মাটি পড়ছে। এতে ধুলাবালি উড়ে পাশর্^বর্তী বাড়ীতে গিয়ে পড়ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়া ৭নম্বর ফেরি ঘাট, চরকর্ণেশন, আক্কাস আলী হাই স্কুল, কলাবাগান এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে ভেকু ও অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু ও মাটি কেটে বিক্রি করছে প্রভাবশালী জাহিদ বিশ^াস, হাবিব, ইসমাইল, আইয়ুব মেম্বার, গাফফার, রাশেদ, হালিম ফকির সহ প্রভাবশালী চক্র। এরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। প্রশাসনের লোকজন এখানে আসলে কিছু সময় বন্ধ থাকে, চলে যাওয়ার পরই পুনরায় শুরু হয়।
বালু কর্তনকারী আঃ গাফফারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বালু উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার সাথে দেখা করেন। এসব নিউজ করে কি হবে।
দৌলতদিয়া নৌ-ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, তাদের ড্রেজার বৈধ বলে দাবী করছে। খোঁজ নিয়ে বালু ও মাটি কাটার বিষয়ে আইনগত পদদেক্ষপ গ্রহণ করা হবে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাহিদুর রহমান বলেন, বালু ও মাটি কাটা বন্ধ করা হয়েছে। এরপরও তারা কাটছে, বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মিজ সুলতানা আক্তারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।