নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাগর আহমেদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন রাজবাড়ীর নবাগত জেলা প্রশাসক মিজ সুলতানা আক্তার। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়ার ইউনিয়নের টাকাপোড়া গ্রামে সাগরের বাড়িতে গিয়ে এই আশ্বাস দেন।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এহসানুল হক শিপন, ওসি জামাল উদ্দিন, জেলা সমন্বয়ক মো. হাসিবুল ইসলাম শিমুলসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
জেলা প্রশাসককে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাগরের মা গোলাপী বেগম। তিনি বলেন, তার ছেলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন, বাবা-মাকে খুব ভালোবাসতেন এবং সবসময় তাদের খোঁজ রাখতেন। তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ করেন, বালিয়াকান্দি মডেল মসজিদটি সাগরের নামে নামকরণ করা হোক, সাগরের কবরের চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হোক এবং নারুয়া গোলচত্বরটি সাগরের নামে করা হোক।
জেলা প্রশাসক মিজ সুলতানা আক্তার আশ্বাস দেন, মসজিদের কাজ শেষ হলে নামকরণ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এছাড়া, সাগরের কবরস্থানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও গোলচত্বরের নামকরণের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দেন।
সাগরের স্মরণে প্রশাসনের উদ্যোগ
২০২৪ সালের ১৯ জুলাই কোটা সংস্কারের দাবিতে মিরপুর গোলচত্বরে আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাগর আহমেদ (২১)।