নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজবাড়ীতে বালু মহলের টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারির ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার দুপুরে ১টার দিকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিক ইমরান হোসেন মনিম মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি । বর্তমান সে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার মাথায় তিনটি সেলাই লেগেছে।
ইমরান হোসেন মোনিম রাজবাড়ী সদরের পাচুরিয়া ইউনিয়নের ব্রাম্মনদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও নিবর ভূমিকা পালন করেছে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কালুখালী উপজেলার চরপাতুরিয়া বালু মহালের দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। এ সময় পেশাগত কাজে ভিডিও ধারন করেন ইমরান হোসেন মনিম। ভিডিও ধারণ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ১৫ /২০ জন মিলে ইমরান হোসেন মোনিমের উপর হামলা। তাকে এলোপাথারী ভাবে মারধোর করে । এসময় তার মাথায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে রক্তাক্ত করে জখম করা হয়।
পরে সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ইমরান হোসেন মনিম বলেন, আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অন্য একটি নিউজের কাজে গিয়েছিলাম। পরে দেখি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে টেন্ডার জমা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। পরে সেটি মারামারিতে রুপ নেয়। আমি তখন নিজের মোবাইল দিয়ে সেটির ভিডিও ধারণ করি। সেটি দেখি ১৫ থেকে ২০ জন আমার দিকে ধেয়ে আসে যে কেন ভিডিও করলাম। তারপর আমাকে মারধর করে। ধারালো কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করে । তখন প্রচুর রক্ত ঝড়তে থাকে। পরে আমাকে উদ্ধার করে ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক দেবাশীষ বিশ্বাস হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ঘটনাস্থলে থাকা ঢাকা পোস্টের রাজবাড়ী প্রতিনিধিমিীর সামছুজ্জামান সৌরভ বলেন, ঘটনা স্থালে আমি ছিলাম। আমিও ভিডিও করি। কয়েক এসে আমার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলেট করে দেয়।
ডিবিসি নিউজের রাজবাড়ী প্রতিনিধি দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, সাংবাদিক ইমরান সেখানে তো মারামারি করতে যায়নি। সে গিয়েছে তার পেশাগত কাজে। তাকে যেভাবে পেটানো হয়েছে সেটা খুবই খারাপ এবং জঘন্য। আমরা এঘটনার নিন্দা জানাই। জরিতদের গ্রেফতার দাবি করি।
সময় টেলিভিশনের রাজবাড়ী প্রতিনিধি আশিকুর রহমান বলেন, আজকের এই ঘটনার পর আমাদের সাংবাদিকতা করা কঠিন হবে যদি এর বিচার না হয়। তবে আমরা বিচার চাই। জরিতদের দ্রত গ্রেফতার দাবি করি।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে পুলিশের তৎপরতার কারণে ঘটনা বেশি বড় হয় নাই।