যুক্তরাষ্ট্র-চীন শুল্কযুদ্ধ আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, যার প্রভাব এবার সরাসরি এসে পড়তে পারে সাধারণ ভোক্তাদের পছন্দের প্রযুক্তিপণ্য—বিশেষ করে আইফোনের ওপর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর ফলে চীনে উৎপাদিত পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যেতে পারে, যার বড় প্রভাব পড়বে আইফোনের মতো পণ্যের ওপর।
অ্যাপলের অধিকাংশ পণ্য, বিশেষ করে আইফোন, চীনে উৎপাদিত হয়। নতুন এই শুল্কের ফলে অ্যাপলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য আমদানি করা হয়ে উঠবে ব্যয়বহুল। প্রযুক্তি বাজার বিশ্লেষক বেন উড বলেন, “চীন থেকে পণ্য আনতে শুল্ক যত বেশি হবে, অ্যাপলের খরচ তত বাড়বে। এই বাড়তি খরচের একটা বড় অংশই পড়ে যাবে ভোক্তার ওপর।”
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রে আইফোনের দাম গড়ে কয়েক শ ডলার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, মার্কিন ডলারের উপর সম্ভাব্য চাপ পড়লে, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও আইফোনসহ অন্যান্য অ্যাপল পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
এই অবস্থায় অ্যাপল দুইটি কৌশলের মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে পারে—এক, তারা তাদের লাভের পরিমাণ কমিয়ে শুল্কের খরচ নিজেরা বহন করবে; দুই, পুরো চাপটা গড়িয়ে দেবে ভোক্তাদের কাঁধে। দ্বিতীয় পথ বেছে নিলে, আইফোনসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়বে বৈশ্বিকভাবেই।
প্রযুক্তিপ্রেমীরা শঙ্কিত—আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বাজারে আসতে যাওয়া নতুন আইফোন মডেলের দাম কতটা বাড়বে এবং তা কতটা প্রভাব ফেলবে তাদের কেনাকাটার সিদ্ধান্তে।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি এই শুল্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়, অ্যাপল হয়তো চীনের বাইরে উৎপাদন ঘাঁটি বিস্তারের বিষয়েও গুরুত্ব দিতে পারে—যেমন ভারত বা ভিয়েতনাম।
ভবিষ্যতের প্রযুক্তিপণ্যের দামে কী প্রভাব পড়বে, তা নির্ভর করবে এই শুল্কনীতি কতদিন বহাল থাকে এবং অ্যাপল কেমনভাবে তার কৌশল ঠিক করে। তবে আপাতত, ভোক্তাদের জন্য খবরটা খুব একটা সুখকর নয়।