নিজস্ব প্রতিবেদক:  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র পাংশা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মোঃ মহিউদ্দিন মানিককে মারধর করেছে প্রতিপক্ষরা। মাদ্রাসা ও বাড়ির পথ আটকে দেওয়া সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের জীবননালা গ্রামে জীবননালা মহিলা মাদ্রাসা ও বাড়ির পথ আটকে দেওয়ার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় রোকন মিয়া ও মজনু মিয়া মহিউদ্দিন মানিককে বেধড়ক মারপিট করেছেন।

মহিউদ্দিন মানিক পাংশা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মহিউদ্দিন মানিকের পিতা মোঃ আলাউদ্দিন জানান, আমার বাড়ির উপর একটি মহিলা মাদ্রাসা রয়েছে, সে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আমার ছেলে হাফেজ মোঃ মহিউদ্দিন। বাড়ির পাশ দিয়ে একটি সরকারি গলি রয়েছে, সে গলি দখল করে ঘর বানিয়ে রেখেছেন রোকন মিয়া ও মজনু মিয়া। সেখান দিয়ে সরকারি রাস্তা — ইটের রাস্তা হচ্ছে। সেখান দিয়ে সরকারি গলি বাদ দিয়ে আমাদের মাদ্রাসা ও বাড়ির পথ বন্ধ করে রাস্তা নির্মাণ করার প্রতিবাদ করলে আমার ছেলে মহিউদ্দিন মানিককে মারপিট করা হয়।

এ ঘটনায় আমরা আইনের আশ্রয় নেব। রোকন মিয়া ও মজনু মিয়া বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের আমলে আমাদের নানা ভাবে হয়রানি করেছেন, এখনও জালাচ্ছেন। আমার ছেলের গায়ে হাত দিয়েছেন, মারপিট করেছেন, গালিগালাজ করেছেন। আমরা নিরীহ প্রকৃতির মানুষ, আমাদের উপর এমন অত্যাচার আমরা মেনে নেব না।

ইসলামী আন্দোলন পাংশা উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান খবর পেয়ে দ্রুত পাংশা হাসপাতালে মহিউদ্দিন মানিককে দেখতে যান এবং এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আইনের মাধ্যমে দোষীদের বিচার কামনা করেন।