যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, যিনি আপাতত এই পদটির অন্তর্বর্তী দায়িত্ব পালন করবেন। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পর এই পরিবর্তনটিকে প্রশাসনের ভেতরে সবচেয়ে বড় রদবদল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, ওয়াল্টজকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার। ট্রাম্প লেখেন, “ওয়াল্টজ আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় নিবেদিতভাবে কাজ করেছেন। এখন সময় এসেছে তাকে নতুন এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কাজে লাগানোর।”
রয়টার্স এর আগে জানায়, হোয়াইট হাউজের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে যে ওয়াল্টজকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিবেচনায় ছিল। বিতর্কিত একটি ঘটনার পর তার অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে—ইয়েমেনে সামরিক অভিযান নিয়ে পরিকল্পনার সময় এক গ্রুপ চ্যাটে ভুলক্রমে একজন সাংবাদিককে যুক্ত করে ফেলেন ওয়াল্টজ, যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
৫১ বছর বয়সী ওয়াল্টজ ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত সাবেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা। তার ডেপুটি অ্যালেক্স ওংও পদত্যাগ করছেন বলে দুটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মার্কো রুবিওর অন্তর্বর্তী দায়িত্ব গ্রহণকে অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। ১৯৭০-এর দশকের হেনরি কিসিঞ্জারের পর এই প্রথম একজন রাজনীতিক একই সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দুটি শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতির দিক থেকে এই রদবদল ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশলগত অগ্রাধিকারগুলোতে নতুন মোড় আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।