প্রথমবারের মতো চীনের বাজারে পা রাখতে যাচ্ছে বাংলাদেশের আম। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে আনুষ্ঠানিক রপ্তানি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সূত্র।
চীনে আম রপ্তানি বিষয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একটি বাণিজ্যিক চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। এ লক্ষ্যে গতকাল রোববার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার কৃষিপণ্য বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর এই রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে চীনে আমসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ আবেদন করেছিল। তবে করোনাভাইরাস মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ সময় ধরে থেমে ছিল। গত বছরের জুলাইয়ে চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস (জিএসসিসি) বাংলাদেশকে আম রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় নিবন্ধন প্রদান করে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে ২৪ লাখ টন আম উৎপাদিত হয়েছে, কিন্তু রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩২১ টন। গত বছর যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ইতালি, সিঙ্গাপুরসহ ২১টি দেশে আম রপ্তানি হয়েছিল। এবার চীনের বিশাল বাজারে প্রবেশকে দেশের কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য নতুন দিগন্ত হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আরও জানান, বাংলাদেশ থেকে কাঁঠাল রপ্তানির বিষয়েও চীন আগ্রহী। তিনি আশা প্রকাশ করেন, শিগগিরই প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে আগামী বছর থেকে কাঁঠাল রপ্তানিও শুরু করা যাবে।
এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশের কাঁচা চামড়া আমদানির বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন।
বাংলাদেশের কৃষিপণ্য রপ্তানিতে চীনের সঙ্গে নতুন এই সহযোগিতা দেশের অর্থনীতি ও কৃষকদের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এখন অপেক্ষা কেবল আনুষ্ঠানিক চুক্তি ও রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর।