বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ বৃহস্পতিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অবদানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করার লক্ষ্যে দিনটি পালিত হয়।
এই উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশের মহাপরিদর্শক, জাতিসংঘের মহাসচিব এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী পৃথক বার্তায় শান্তিরক্ষীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানান।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বেলা ১১টায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আহত শান্তিরক্ষীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় এবং শান্তিরক্ষী মিশনে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম নিয়ে একটি প্রামাণ্য উপস্থাপনা উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী এবং সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বক্তারা শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতেও এ ভূমিকা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন। পরে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় করেন।
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার ও অব্যাহত অবদান আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হচ্ছে—এমন মন্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।