রাজবাড়ীর পাংশায় পূর্ব শত্রুতার জেরে সশস্ত্র হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই জন গুরুতর আহত হয়ে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতরা হলেন—উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বৃত্তিডাঙ্গা গ্রামের মো. মোস্তফার ছেলে মনিরুল ইসলাম ও রাকিবুল ইসলাম।
এ ঘটনায় বৃত্তিডাঙ্গা গ্রামের মো. ইয়াকুব মুন্সীর ছেলে মো. মনিরুজ্জামান পাংশা মডেল থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন: মো. ইকবল, মো. উজির বিশ্বাস, মো. রাজা, মো. স্বপন সরদার, মো. আমির সরদার, মো. সামিম, মো. ইদ্রিস, মো. জোতনা, মো. দিরাজ মন্ডল, মো. লতিফ মন্ডল ও মো. সম্রাট।
অভিযোগকারী জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আসামিরা বৃত্তিডাঙ্গা বাজারে এসে তাদের গালিগালাজ করে। প্রতিবাদ করলে দিরাজ মন্ডল চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মনিরুলের ডান হাতে কোপ মারেন এবং অন্যরা লাঠি, রড, হকিস্টিক দিয়ে মনিরুল ও রাকিবকে মারধর করেন। গুরুতর আহত দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া হামলাকারীরা বাজারে মনিরুজ্জামানের তিনটি ঘর ভাঙচুর করে প্রায় ১০০ মন পেঁয়াজ লুট করে নিয়ে গেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, অন্য একজনের ভাই জানান তিনি অসুস্থ হয়ে ফরিদপুরে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”