নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজবাড়ী ডিবেট এসোসিয়েশনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী বিতর্ক উৎসব রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনয়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের উদ্বোধন করেন নেত্রকোনা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার আশরাফুল মুনিম।
এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সবাই মাড়িয়ে যাচ্ছে যাক, মাথা উচু রাখো ঘাস, একদিন তোমার কাছেই নেমে আসবে আকাশ’।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শারমিন্দ নীলোর্মি, সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার ও রাজবাড়ী একাডেমির সভাপতি সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ইকবাল হোসেন ও নতুনের শান্তি নিবাসের সিইও মাসুদুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী ডিবেট এসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক উদ্দিন।
উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেত্রকোনা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার আশরাফুল মুনিম বলেন, আমি বিতর্ক চর্চাকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছি। বিতর্ক কেন করতে হবে. বিতর্ক আমাদের কী শেখায়? বিতর্ক আমাদের যুক্তিতে ভাবতে শেখায়। যুক্তিকে চিন্তা করতে শেখায়। যেটা যুক্তি নয় সেটাকে বাতিল করব। আমাদের সেই মনন সেই মানসিকতা তৈরি করে নিতে হবে। যা কিছু সত্যি, যা কিছু সুন্দর, যা যুক্তিগ্রাহ্য তা গ্রহণ করে নিতে হবে।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন আরডিএর সাংগঠনিক সম্পাদক আহনাফ তাহমিদ খান রাইয়ান। সঞ্চলনা করেন আরডিএর সাধারণ সম্পাদক আশফাকুর রহমান।
দুদিন ব্যাপী উৎসবে রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ২৪ টি দল ও প্রায় তিনশ জন ছাত্র-ছাত্রী সনাতনী, সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। উৎসব উপলক্ষে সকালে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে।
শনিবার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব। বক্তব্য নতুনের শান্তি নিবাসের সিইও মাসুদুল ইসলাম, সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার আজিজা খানম, রাজবাড়ী আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি নুরুল হক আলম, রাজবাড়ি টাউন মক্তবের প্রধান শিক্ষক জুন কক্স। এসময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক দলের সদস্য, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং রাজবাড়ী জেলার বিশিষ্টজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উৎসব উপলক্ষে ‘বাকশৈলী’ নামে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেটি সম্পাদনা করেছেন সাংবাদিক সৌমিত্র শীল চন্দন।
সংগঠনের সভাপতি ফরুক উদ্দিন জানান, এ উৎসবের মাধ্যমে রাজবাড়ী জেলার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতর্কের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। যা তাদের সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া, তরুণদের মধ্যে সামাজিক ও রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়ানো, তাদের যুক্তি ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করাও এ আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল।