দীর্ঘ চার মাস চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৬ মে) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাকে সরাসরি গুলশানের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই বলেই জানা গেছে বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র থেকে।
দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতা, হৃদরোগসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভোগা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য এখনও পুরোপুরি সুস্থ নয়। চিকিৎসক ও পরিবারের পরামর্শে তিনি আপাতত সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে থাকবেন। তবে প্রয়োজন হলে দলের পরামর্শক হিসেবে ভূমিকা রাখবেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান আগের মতোই দল পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মতে, “খালেদা জিয়া দেশে ফিরেছেন মানেই রাজনীতিতে তার উপস্থিতি বজায় আছে। তিনি এখন দলের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।”
দলের একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, ভবিষ্যতে শারীরিক অবস্থা ভালো থাকলে বিশেষ কিছু কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হতে পারেন খালেদা জিয়া। যদিও গুলশান অফিসে নিয়মিত বসার সম্ভাবনা আপাতত নেই বলে জানানো হয়েছে। বিএনপির সূত্রে আরও জানা গেছে, এই সিদ্ধান্তে তারেক রহমানের সুস্পষ্ট মত রয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ বলেন, “নেত্রী দেশে ফিরেছেন, এটা আমাদের জন্য বড় শক্তি। আমরা আশা করি, আল্লাহ যদি তাকে সুস্থ রাখেন, তিনি আবারো রাজনীতি ও গণতন্ত্রে নেতৃত্ব দেবেন।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তাদের মতে, তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও সর্বজনগ্রহণযোগ্যতা জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক সমঝোতার প্রক্রিয়ায় সহায়ক হতে পারে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিএনপি এখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রয়োজনে নেপথ্যে থেকে দিকনির্দেশনা দেবেন।