নিউজ ডেস্ক: বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে পুনর্গঠিত হতে যাচ্ছে। সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা বাদ পড়ছেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য নতুন কয়েকজন ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন। আসন্ন নির্বাচনকে নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ঐকমত্যের সরকার গঠনে লিয়াজোঁর দায়িত্ব পালনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার একজন বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেওয়া হবে, যিনি সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার হবেন। এ দায়িত্বে একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নির্বাচনের সম্ভাব্য রূপরেখা ইতোমধ্যে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি সরকারকে নতুনভাবে সাজিয়ে রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন ও সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করবেন।
সরকারি সূত্রে আরও জানা গেছে, বিশেষ সহকারী নিয়োগের প্রজ্ঞাপন আজকালের মধ্যে জারি হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। এ নিয়োগের মেয়াদ ছয় মাস হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার এ উদ্যোগকে ইতিবাচক উল্লেখ করে বলেন, ‘যদি যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে ঐকমত্যের সরকার গঠন করা হয়, তবে এটি দেশের স্থিতিশীলতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সরকারকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিনটি বিষয়ে কাজ করতে হবে— স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করা এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা।’
এর আগে ১৬ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ গঠনের ঘোষণা দেন। কমিশনটি রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তুলতে কাজ করবে বলে জানানো হয়েছিল। যদিও এখনো কমিশন গঠনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে ইতিবাচক আলোচনা চলছে।