রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে মোঃ আলম শেখ (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্যাতনের সময় চারজন যুবককে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভীমনগর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। আহত আলমকে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আলম শেখের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার মাজবাড়ী গ্রামে। তার বাবার নাম সেলিম শেখ। আলম শেখ বর্তমানে গাজীপুর জেলার টঙ্গীর চেরাগআলী বড় দেওরা ফকির মার্কেটের মাংসের ব্যবসা করেন।
আটককৃতরা হলো:
আটককৃত চারজনই বালিয়াকান্দি উপজেলার একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে।
জানা যায়, বালিয়াকান্দির সদর ইউনিয়নের জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রী রেশমার গ্রামের বাড়ি আলম শেখের গ্রামের বাড়ির এলাকায়। পূর্ব থেকেই তারা পরিচিত এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। মাঝে মধ্যেই আলম শেখ রেশমার সাথে দেখা করতে বালিয়াকান্দি আসতেন। আলম শেখের স্ত্রী ও গ্রেফতারকৃত চারজন একই ইটভাটায় কাজ করতেন।
এরই জেরে প্রলোভন দেখিয়ে ফরহাদ পরিকল্পনা করে আলমকে রাজবাড়ী বালিয়াকান্দির ভীমনগর গ্রামে এনে স্থানীয় একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় নিয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে ৪ জন মিলে তাকে জীবিত মাটিতে পুঁতে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং হত্যাচেষ্টাকারী ৪ জনকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি জামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনগণের কাছ থেকে ৪ জনকে উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, আলম শেখ দাবি করেন রেশমা তার পূর্বপরিচিত। সেই সূত্রে রেশমার স্বামীও আলমের পরিচিত। রেশমার স্বামী আলমের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিল। সেই ধার শোধ নিতে এলে তারা কৌশলে তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে হত্যার চেষ্টা করে বলে দাবি করেন।
অন্যদিকে, আটককৃতরা দাবি করেছেন, রেশমা ও আলমের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। সেই ক্ষোভ থেকে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।