রাজবাড়ীতে রাবেয়া-কাদের পাঠাগারের নিবেদিত প্রাণ,বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রেজাউল করিম আরজুর স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩ মে) বিকেলে রাজবাড়ী সদর উপজেলা রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুরে মোল্লা বাড়িতে রাবেয়া- কাদের পাঠাগারে রাবেয়া- কাদের পাঠাগারের উদ্যোগ এই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়
স্মরণ সভায় স্মৃতিচারণ মূলক বক্তব্য দেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক বিশ্বাস, রাজবাড়ী জেলার সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজা খানম, রাজবাড়ী জেলার সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা ও রাজবাড়ী একাডেমির সভাপতি সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড আব্দুস সামাদ মিয়া, রাজবাড়ী থিয়েটারের সভাপতি আসাদুজ্জামান চৌধুরী বাবলা, আলীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শওকত হাসান, জেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফকীর শাহাদত হোসেন, সাংবাদিক বাবু মল্লিক, রাজবাড়ী লেখক পাঠক কেন্দ্রের সভাপতি কবি নেহাল আহমেদ, কবি খোকন মাহমুদ, রেজাউল করিম আরজুর ছোট ভাই রেজাউল বাশার পিরোজ , রবিউল রবি প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন রাবেয়া- কাদের পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম। এসময় সমাজের বিভিন্ন শ্রণির মানুষ ও রাবেয়া- কাদের পাঠাগারের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, প্রত্যেক মানুষকেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হবে। তবে মৃত্যুর পরও কিছু মানুষ অমর হয়ে থাকে। মানুষ তার কৃতকর্মের জন্য পৃথিবীতে বেঁচে থাকে। রেজাউল করিম আরজু সেই কাজটি করেছেন। তিনি একজন প্রগতিশীল মানুষ ছিলেন। তিনি রাবেয়া- কাদের পাঠাগারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে তিনি শিশুসুলভ আচরণ করতেন। রাজবাড়ীর সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে এগিয়ে নিতে রেজাউল করিম আরজুর ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
উল্লেখ্য, রেজাউল করিম আরজু রামকান্তপুর ইউনিয়নের বেথুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভুগছিলেন। গত ২৩ এপ্রিল ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। তিনি রাবেয়া- কাদের পাঠাগারের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এছাড়া রাজবাড়ী জনতার আদালত পাঠক মেলার যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন।
স্মরণ সভার আলোচনা শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে দোয়া করা হয়।