বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাকিল অপহরণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর চকবাজার এলাকা থেকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন—জহিরুল ইসলাম ওরফে প্রিন্স, সাইফুল ইসলাম ওরফে সুজন এবং সোলায়মান ওরফে সুমন। তারা বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা এবং বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। তবে স্থানীয় বিএনপি নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সগির হোসেন জানান, অপহরণের পর ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি জানার পর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত শাকিলকে উদ্ধার এবং তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চকবাজারের বাজার রোডের কাঠের গলি এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
ভুক্তভোগীর বড় ভাই হাফিজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মোস্তাফিজুরকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁর মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনাটি নগর পুলিশ কমিশনারকে জানালে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঘটনার পর বিকেলে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন হাফিজুর রহমান। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার তিনজনকে শুক্রবার আদালতে হাজির করা হবে।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বরিশাল নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাহিদুর রহমান বলেন, “গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিএনপির কেউ নয়। বর্তমানে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের কোনো কমিটি নেই। একটি চক্র বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এ ধরনের অপরাধ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, বিএনপি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় এবং কেউ সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অপরাধে জড়িত হলে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় বরিশালে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।