নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর বাজারে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করে পাঁচ লক্ষ টাকা ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী থানায় মামলা করলে আসামিরা নানা রকম হুমকি দিচ্ছে।
গত ২২ ডিসেম্বর বহরপুর বাজারে হেলালের পাটের ঘরের সামনে রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং সঙ্গে থাকা পাঁচ লক্ষ সাত হাজার দুইশত পঞ্চাশ টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। হারুন অর রশিদ বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর গ্রামের মৃত মোন্তাজ উদ্দিন শেখের ছেলে।
এ ঘটনায় ২৪ ডিসেম্বর হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪ থেকে ৫ জন অজ্ঞাত আসামির নামে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন রুবেল মাহমুদ সুমন, মঞ্জু বিশ্বাস, রেজাউল মণ্ডল ও শামীম বিশ্বাস। চার আসামির বাড়ি বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর গ্রামে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বাদী হারুন অর রশিদ আকিজ সিমেন্ট কোম্পানি ও আকিজ প্লাস্টিক লিমিটেডের রাজবাড়ী জেলার একমাত্র পরিবেশক এবং বহরপুর বাজারে নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসায়ী। কিছুদিন আগে তিনি স্ত্রীর নামে থাকা বহরপুর বাজারের জমি এক কোটি ২০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেন। জমি বিক্রির খবর জানতে পেরে উক্ত চার আসামি গত ২১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে হারুন অর রশিদের কাছে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। হারুন অর রশিদ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়।
এরপর ২২ ডিসেম্বর বাজারে দোকান বন্ধ করে কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের দেওয়া টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন হারুন। বাজারের হেলালের পাটের ঘরের সামনে পৌঁছালে উক্ত চার আসামি এবং তাদের সঙ্গে থাকা আরও ৪ থেকে ৫ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার পথরোধ করে। তারা তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে এবং সঙ্গে থাকা পাঁচ লক্ষ সাত হাজার দুইশত পঞ্চাশ টাকা ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সুস্থ হয়ে দুই দিন পর চারজনকে আসামি করে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করলেও এখনো কোনো আসামি ধরা পড়েনি।
ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ জানান, মামলার পর বিভিন্ন নম্বর থেকে তাকে এবং তার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি পুলিশকে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তিনি পরিবার ও ব্যবসা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি জামাল উদ্দিন জানান, আসামিদের ধরতে পুলিশ সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চার আসামিই পলাতক রয়েছে।