নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি বাজারে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া তিনটি দোকানঘর জোরপূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আশিক আহমেদ নামে একজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দোকান মালিক ফারুক হোসেন বাদী হয়ে আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত আশিক আহমেদ বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামের মৃত মজিদ শেখের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদীর পিতামহ (দাদা) ওয়াহেদ শেখ বালিয়াকান্দি বাজারের ৪৭ নং মৌজায় ১১ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন। ওয়াহেদ শেখের মৃত্যুর পর ওই ১১ শতাংশ জমির মালিক হন তার ছয় ছেলে। তবে ওয়াহেদ শেখ জীবিত থাকা অবস্থায় তিনি তার তিন ছেলে হোসেন আলী শেখ, শাজাহান শেখ ও নুরুল ইসলাম শেখকে ব্যবসা করার জন্য টিনের ঘর তুলে দেন। ওয়াহেদ শেখের অন্য তিন ছেলের মধ্যে একজন প্রবাসী, একজন ঠিকাদার এবং একজন সরকারি চাকরিজীবী।
বাদী এবং তার দুই চাচার ছেলে ওই ঘরে “আরোগ্য ফার্মেসি” নামে একটি ওষুধের দোকান পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়া ঘরের অন্য অংশে “সুজন সুইট” এবং “শুভ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার” নামে দুটি হোটেল রয়েছে।
গত ১৭ ডিসেম্বর, অভিযুক্ত আশিক আহমেদ লোকজন ভাড়া করে দোকানঘর দখলের চেষ্টা করেন এবং হোটেল দুটি ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। এর মধ্যে একটি হোটেলের দরজা ভেঙে ফেলা হয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা সেখান থেকে সরে যান।
পরে বাদী গত ২২ ডিসেম্বর রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলা করার পরও আশিক আহমেদ এবং তার সহযোগীরা হোটেল মালিকদের বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছেন।
মামলার বাদী ফারুক হোসেন জানান, “আশিক আমার অন্য তিন চাচার কাছ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ জমি কিনেছেন বলে দাবি করে আমাদের মালিকানাধীন জমি দখলের চেষ্টা করছেন। আমরা তাকে বলেছি, তিনি যেন তিন চাচাকে নিয়ে এসে জমি কেনার দলিল দেখান। আমার দাদা জীবিত থাকা অবস্থায় তার তিন ছেলেকে রাস্তার পাশের দোকানঘর দিয়ে জমি বণ্টন করে দেন। বাকি তিন ছেলের জমি দোকানের পেছনে ফেলে রাখা হয়। সেটি আমার চাচারাও জানেন। কিন্তু আশিক মস্তান ভাড়া করে এনে আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য আমরা রাজবাড়ী সহকারী জজ আদালতে এবং ১৪৪ ধারায় পৃথক দুটি মামলা করেছি। সবকিছু উপেক্ষা করে তিনি হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।”
অভিযুক্ত আশিক আহমেদ দোকানঘর দখলের চেষ্টার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “আমি তাদের তিন চাচার কাছ থেকে জমি কিনেছি। কিন্তু তারা আমাকে জমি দখল করতে দিচ্ছে না। এজন্য আমি দখলের চেষ্টা করেছিলাম। তারা জমি নিয়ে মামলা করেছে যাতে আমি জমি দখল করতে না পারি।”
4o