মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যকার উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডার পর যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। সোমবার (৩ মার্চ) হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তির প্রতি মনোযোগী এবং আশা করেন যে অংশীদাররাও একই লক্ষ্যে কাজ করবে। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের সহায়তা থামিয়ে দিচ্ছি এবং এটি পর্যালোচনা করছি যাতে সংঘাতের সমাধানে ভূমিকা রাখা যায়।”
এ বিষয়ে এখনো হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন সহায়তার পরিমাণ ও সময়সীমা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এবং ওয়াশিংটনে ইউক্রেন দূতাবাসও তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠকটি উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে রূপ নেয়। বৈঠকের একপর্যায়ে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা নিয়ে জেলেনস্কিকে ‘অকৃতজ্ঞ’ বলে অভিযুক্ত করেন। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সও জেলেনস্কির সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান এবং অভিযোগ করেন যে জেলেনস্কি একবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেননি। উত্তরে জেলেনস্কি জোর গলায় বলেন, “বহুবার বলেছি, আমেরিকার জনগণকে ধন্যবাদ।”
এই ঘটনার পরই মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমানে সহায়তা পুনরায় চালুর বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
ঘটনার জেরে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে। অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলে মনে করছেন।