1. njnaimofficial@gmail.com : Naim Sheikh : Naim Sheikh
  2. biswass443@gmail.com : Sumon Biswas : Sumon Biswas
  3. admin@rajbariexpress.com : Rajbari Express :
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
  •                          

রাজবাড়ী এক্সপ্রেস ইপেপার

ঘোষণা:
জাতীয় অনলাইন গনমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।

ওসির বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে পাংশায় মানবনন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১২৫ মোট পাঠক
ওসি এবং এসআই সহ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে পাংশায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাংশার সচেতন নাগরীক সমাজ ও সর্বস্তরের জনগনের আয়োজনে সোমবার
ওসি এবং এসআই সহ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে পাংশায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাংশার সচেতন নাগরীক সমাজ ও সর্বস্তরের জনগনের আয়োজনে সোমবার

ওসি এবং এসআই সহ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে পাংশায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পাংশার সচেতন নাগরীক সমাজ ও সর্বস্তরের জনগনের আয়োজনে সোমবার (৭ এপ্রীল) শহরের আব্দুল মালেক প্লাজার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

পাংশা প্রেসক্লাবের আহবায়ক জিয়া পরিষদের সভাপতি পাংশা মহিলা কলেজের শিক্ষক এম এ জিন্নার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মাছপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম মিয়া টিপু, পাংশা বাজার বনিক সমিতির সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার সরদার, পাংশা উপজেলা জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা আবুল হোসেন কলেজের শিক্ষক আলমগীর হোসেন, জামায়াত নেতা আবু সাঈদ, জেলা ছাত্রদলে নেতা সজীব রাজা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাগর শিকদার প্রমুখ। বক্তাবা বলেন, অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যহার করতে হবে, একজন ভাল পুলিশ অফিসারের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করা ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবী জানান তারা।

উল্যেক্ষ গত গত ৬ এপ্রীল পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিমাদ্রি হাওলাদারসহ তিন জনের বিরুদ্ধে রিমা খাতুন নামে এক মহিলা বাদী হয়ে রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়।

এদিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুর কার্যালয়ের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

রিমা খাতুন পাংশার মাছপাড়া ইউনিয়নের লক্ষণদিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী।

অপর দিকে, মিনি খাতুন (৩০) নামে এক নারী বাদী হয়ে গত ২৫ মার্চ পাংশা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় পাঁচ নম্বর আসামি রিমা খাতুন (২৮)।
অন্য আসামিরা হলেন- রিমা খাতুনের স্বামী শরিফুল ইসলাম (৩২), ভাসুরের ছেলে জিসান খান (১৯), ভাসুর  রফিকুল ইসলাম মজনু (৪৫) ও জা জোছনা খাতুন (৩৮)।

মামলার এজাহারে মিনি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, “আমার স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী। আমার মেয়ে মাহিমা আক্তার অধরা ও জিসান খান কুষ্টিয়া জেলার খোকসা থানাধীন শিমুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করত। সেই সূত্রে সে আমার মেয়েকে চেনে। স্কুলে গিয়ে জিসান আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় বিরক্ত করতো এবং কুপ্রস্তাব দিত। আমার মেয়ে জিসানের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে আমার কাছে এসে ঘটনা বলে। আমি জিসানকে নিবারন করার জন্য তার অভিভাবকদের কাছে নালিশ করি। কিন্তু অভিভাবকরা কোন পদক্ষেপ না নিয়ে তাদের ছেলে জিসানকে আমার মেয়ের পেছনে লেলিয়ে দেয়। এতে জিসান আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং আমার মেয়েকে বিরক্ত করা অব্যাহত রাখে। তার অত্যাচারে আমরা কুষ্টিয়ায় টিকতে না পেরে পাংশা থানাধীন পারনারায়নপুর এসে বাসা ভাড়া করে থাকি এবং আমার মেয়েকে পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে ভর্তি করি। কিন্তু জিসান ও তার অভিভাবকরা আমাদের পিছু ছাড়েনা। এখানে আসার পরও জিসান আমাদের ঠিকানা সংগ্রহ করে আমার মেয়েকে বিরক্ত করা অব্যাহত রাখে। একপর্যায়ে জিসান আমার মেয়েকে বিভিন্ন রকম উচ্চাকাংখা দেখিয়ে ও ভুলভাল বুঝিয়ে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলে।”

তিনি আরও বলেন, “গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ৬ টার সময় আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়ার কথা বলে তার স্কুলের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। প্রাইভেট পড়ার সময় পার হয়ে গেলেও আমার মেয়ে বাড়িতে না আসায় আমি খুঁজতে বের হই। মেয়ের স্কুলে গিয়ে দেখি মেয়ে সেখানে নেই। তখন আমি আমার মেয়েকে আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুজি করতে থাকি। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে জানিতে পারি, ২২ মার্চ সকাল ৬ টা ৪০ মিনিটে আমার মেয়ে পারনারায়নপুর ব্রিজের উপর পৌছালে জিসান তার বাবা রফিকুল ইসলাম মজনু, মা জোছনা খাতুন, চাচা শরিফুল ইসলাম ও চাচী রিমা খাতুনের সহায়তায় আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে, ভুলভাল বুঝিয়ে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অজ্ঞাতনামা অটোতে করে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আমার মেয়ের গলায় ৮ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন, একজোড়া স্বর্নের দুল ও বাম হাতের আঙুলে ৪ আনা ওজনের একটি আংটি ও তার কাছে হাওয়াই স্মার্ট ফোন ছিল।”
এরই পরিপেক্ষিতে অপহরন মামলা থেকে বাঁচতে পুলিশের নামে এ মামলা করেন বলে জানা যায়।

পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, “অপহরণ মামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত ও পুলিশের কাজকে বিঘ্নিত করার জন্য রিমা খাতুন তৃতীয় পক্ষের প্ররোচনায় আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।”

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরও খবর

© All rights reserved Rajbari Express © 2025 এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অথবা অডিও অনুমতি ছাড়া ব্যাবহার বে-আইনি।