নিজস্ব প্রতিবেদক:
হামলা, মামলা ও জেল-জরিমানার ভয়ে এতদিন ইফতার ও দোয়া মাহফিল আয়োজন দূরের কথা, ঈদের নামাজও ঈদগাহে গিয়ে পড়তে পারেননি গোয়ালন্দ উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে দীর্ঘ ১৭ বছর পর গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত মাঠে ইফতার ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করতে পেরে উচ্ছ্বসিত তারা।
আরও পড়ুনঃ গোয়ালন্দে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে তিন যুবক আটক
শুক্রবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় গোয়ালন্দ উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মাহফিলে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোঃ আসলাম মিয়া।
গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সভাপতি নিজাম উদ্দিন শেখের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ আহমেদের সঞ্চালনায় আয়োজিত এ ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম শিকদার পিন্টু, রাজবাড়ী সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবুল হোসেন গাজী, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর রহমান ঝন্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো: আব্দুল মালেক খান, সাবেক আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান লিখন, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান, গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আমজাদ হোসেন, গোয়ালন্দ পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মোল্লা মজি, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, গোয়ালন্দ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব সানোয়ার আহমেদ, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব কামরুজ্জামান কামরুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবু সাঈদ মণ্ডল প্রমুখ। এছাড়াও জেলা, সদর, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বাবু বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান ও গণতন্ত্রের মানসকন্যা বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে আজকের এই আয়োজন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর উন্মুক্ত মাঠে বিএনপির নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে ইফতার করতে পারছে, যা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট আসলাম মিয়া বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। আজ তারা মুক্ত পরিবেশে একত্রিত হয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিতে পেরেছেন, যা আমাদের অনুপ্রাণিত করছে। আমি সবসময় রাজবাড়ী জেলার নির্যাতিত-নিপীড়িত নেতাকর্মীদের পাশে আছি এবং থাকব ইনশাআল্লাহ।
উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা এ সময় ঘোষণা দেন, আগামী দিনগুলোতে বিএনপি আরও সুসংগঠিতভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবে এবং দলের প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তারা।
ইফতারের পূর্বে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দেশের কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মোঃ গোলজার হোসেন কাদরী।