চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জেরে রিয়াদ হাসান (১২) নামের এক স্কুল শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (১২ মে) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার ছয়ঘড়িয়া গ্রামে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রিয়াদ ছয়ঘড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউর রহমানের ছেলে এবং স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রিয়াদের বাবা জিয়াউর রহমান ও প্রতিবেশী হযরত আলীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার রিয়াদ ও হযরত আলীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হযরত আলী ক্ষিপ্ত হয়ে হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে রিয়াদের গলায় আঘাত করে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলেই রিয়াদের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ তিতুমীর জানান, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত হযরত আলীকে ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। দ্রুত তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
এই নির্মম ঘটনায় এলাকায় চরম শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। রিয়াদের সহপাঠী, শিক্ষক এবং প্রতিবেশীরা হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।