1. njnaimofficial@gmail.com : Naim Sheikh : Naim Sheikh
  2. biswass443@gmail.com : Sumon Biswas : Sumon Biswas
  3. admin@rajbariexpress.com : Rajbari Express :
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৩:১১ পূর্বাহ্ন
  •                          

রাজবাড়ী এক্সপ্রেস ইপেপার

ঘোষণা:
জাতীয় অনলাইন গনমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।

রাফাল ধ্বংস করে ইতিহাস গড়লেন পাকিস্তানি নারী ফাইটার পাইলট আয়েশা ফারুক

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
  • ৪ মোট পাঠক
রাফাল ধ্বংস করে ইতিহাস গড়লেন পাকিস্তানি নারী ফাইটার পাইলট আয়েশা ফারুক
রাফাল ধ্বংস করে ইতিহাস গড়লেন পাকিস্তানি নারী ফাইটার পাইলট আয়েশা ফারুক

পাকিস্তানের সামরিক ইতিহাসে যুক্ত হলো এক নতুন গৌরবগাথা—আর তার নায়ক একজন নারী। পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রথম যুদ্ধপ্রস্তুত নারী ফাইটার পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার আয়েশা ফারুক সম্প্রতি ভারতের বহুল আলোচিত রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে রীতিমতো আলোড়ন তুলেছেন বিশ্বমঞ্চে।

গত ৬ মে দিবাগত রাতে, ভারত-পাকিস্তানের উত্তপ্ত সীমান্ত অঞ্চলে সংঘটিত এক আকাশযুদ্ধে, পাকিস্তানি আকাশসীমা রক্ষা করতে গিয়ে সাহসিকতার পরিচয় দেন আয়েশা। সামরিক সূত্রে জানা গেছে, মাত্র ২৭ সেকেন্ডে লক্ষ্য নির্ধারণ ও আক্রমণ, ৮.৭ সেকেন্ডে সরাসরি আঘাত এবং ৪ সেকেন্ডের মধ্যে ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। রাফালের বিরুদ্ধে এই সফল মিশন সম্পন্ন হয় মার্কিন নির্মিত AIM-120C AMRAAM ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে।

এক নারীর অসামান্য উত্থান

আয়েশা ফারুকের জন্ম পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরে। মাত্র তিন বছর বয়সে পিতৃহারা হয়ে কঠিন বাস্তবতার সঙ্গে সংগ্রাম শুরু হয় তার। মায়ের অদম্য উৎসাহ ও নিজের প্রবল সংকল্পে গড়ে ওঠেন তিনি। সমাজের কটূক্তি, পরিবারিক বাধা—সব কিছু পেছনে ফেলে তিনি পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে যোগ দেন।

পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত ৩১৬ জন নারী রয়েছেন বিমানবাহিনীতে, কিন্তু ফাইটার জেট চালানোর যোগ্যতা অর্জন করেছেন মাত্র ৫ জন। আর তাদের মধ্য থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষিত ও অনুমোদিত একমাত্র নারী পাইলট আয়েশা ফারুক।

ইতিহাস গড়লো আয়েশার হাতেই

বিশ্বের সামরিক ইতিহাসে এই প্রথম কোনো নারী পাইলট সরাসরি ফ্রান্সের নির্মিত অত্যাধুনিক দাসোঁ রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করলেন। আন্তর্জাতিক সামরিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা ও একাধিক ফরাসি সংবাদমাধ্যম ইতিমধ্যেই ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

বিমানবাহিনীর এক অভ্যন্তরীণ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, “আয়েশার সাহসিকতা শুধু পাকিস্তানের সামরিক শক্তির নিদর্শন নয়, এটি দক্ষিণ এশিয়ায় নারীর অবস্থান ও ক্ষমতারও এক স্পষ্ট প্রমাণ।”

নারীর গর্ব, জাতির আস্থার প্রতীক

আয়েশা বলেন, “আমি যুদ্ধবিমান চালাতে শিখিনি কারো চেয়ে বড় হতে, আমি শিখেছি আমার দেশের আকাশকে রক্ষা করতে।”
প্রতিদিন ভোর ৪টা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তার প্রশিক্ষণ, প্রস্তুতি ও দায়িত্ব পালন। “এটা শুধু একটি চাকরি নয়, এটা একটা শপথ,” বলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক মহল ইতিমধ্যেই এই সাফল্যকে নারীর ক্ষমতায়নের এক মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। যেখানে এখনো বহু দেশে নারীকে যুদ্ধক্ষেত্রে ভাবাই হয় না, সেখানে আয়েশা ফারুক প্রমাণ করেছেন—সাহস, প্রযুক্তি ও কৌশলে নারীরাও সমানভাবে সক্ষম।

এক রাফাল ধ্বংস, এক যুগান্তকারী বার্তা

২৮৮ মিলিয়ন ডলারের প্রযুক্তির গর্ব রাফালকে যেভাবে এক নিখুঁত আক্রমণে ভূপাতিত করা হয়েছে, তা সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এটি সামাজিক ভাবনায়ও এক বড় ধাক্কা। একুশ শতকের এই নারী যোদ্ধা শুধু একটিমাত্র যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেননি, ভেঙে দিয়েছেন নারীকে দ্বিতীয় সারিতে রাখার প্রচলিত ধ্যানধারণাও।

এই সাহসিকতা ও সাফল্য পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নারী প্রজন্মের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আয়েশা এখন শুধু একজন ফাইটার পাইলট নন—তিনি হয়ে উঠেছেন পাকিস্তানের আকাশে নারীর বিজয়ের প্রতীক।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরও খবর

© All rights reserved Rajbari Express © 2025 এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অথবা অডিও অনুমতি ছাড়া ব্যাবহার বে-আইনি।