লন্ডন, ১৫ এপ্রিল:
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে লন্ডনে এক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎ। সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এবং নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ আবু তাহের বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডনে তারেক রহমানের বাসভবনে সাক্ষাৎ করেছেন। এই সাক্ষাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ এই বৈঠকটি ইউরোপ সফর শেষে জামায়াত নেতাদের লন্ডনে পৌঁছানোর পর অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়া তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করছেন এবং সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
তবে এই সাক্ষাতে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সে সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। বিষয়টি ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে নানা গুঞ্জন। এটি কি কেবল সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ, নাকি ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সমন্বয়ের কোনো ইঙ্গিত বহন করছে—এ প্রশ্ন এখন সবার মনে।
বেগম জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল তার ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি উল্লেখ করে লিখেছেন, “বেগম জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতার সাক্ষাতে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। দুই ডাক্তারের এ সাক্ষাৎ রাজনীতির রসায়নে নতুন কোনো ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে নাকি নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েই থাকবে, তা বুঝতে হলে আমাদের চোখ রাখতে হবে সামনের দিকে।”
এর আগে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডনে তার বাসায় সাক্ষাৎ করেছেন, যা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইঙ্গিত হিসেবে ধরা হচ্ছে।
বিএনপি এবং জামায়াতের অতীত রাজনৈতিক জোটের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সামনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সমীকরণে বড় কোনো পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে কিনা, সে প্রশ্ন এখন সময়ই দেবে উত্তর।