গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানান, এই অর্থ পাচারে দেশের নামকরা কিছু বড় শিল্প গোষ্ঠী জড়িত, বিশেষ করে চট্টগ্রামের কিছু গ্রুপের নাম উঠে এসেছে।
শুক্রবার চট্টগ্রামে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ কার্যক্রম ও সমসাময়িক ব্যাংকিং ইস্যু নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গভর্নর মনসুর বলেন, “আমরা পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা করছি। তবে এটা আমাদের জন্য একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা। এর আগে এত বড় পরিসরে কখনোই এর মোকাবিলা করিনি। তাই আমাদের আন্তর্জাতিক আইন ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “রোগ সারানোর চেয়ে রোগ প্রতিরোধই ভালো। পাচার হওয়ার পরে ব্যবস্থা নিলে সেটা দেরি হয়ে যায়। আমাদের এখনই এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যেন ভবিষ্যতে এই ধরনের অর্থ পাচার আর না ঘটে।”
অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে আউট অব কোর্ট স্যাটেলমেন্টের গুরুত্ব তুলে ধরে গভর্নর বলেন, “সব ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি মামলা মোকদ্দমায় যাওয়া যৌক্তিক নয়। অনেক সময় সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে সমঝোতা করাই ফলপ্রসূ হয়। তবে সেটি হতে হবে তথ্যনির্ভর ও স্বচ্ছভাবে।”
তিনি জানান, পাচার হওয়া সম্পদ শনাক্ত করাই প্রথম ধাপ। এজন্য বিদেশি সরকারি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তার জন্য বিভিন্ন দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
গভর্নরের মতে, এই উদ্যোগ শুধু অর্থ ফেরত আনার প্রয়াস নয়, বরং বাংলাদেশের আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নতুন যুগের সূচনা।