নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেছেন, এখন মানুষ আর কারও বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায় না, একসাথে বসে চা খায় না। মানুষের মধ্যে মসজিদ কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটি নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ড বিভেদ সৃষ্টি করেছে। মানুষের মধ্য থেকে রাজনৈতিক সহাবস্থান নষ্ট করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে পাচুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত মুকুন্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াত, জাতীয় পার্টিসহ সব দলের নেতাকর্মীদের সাথে বসে চা খেতাম। কারও কোনো ক্ষতি আমরা করিনি। অথচ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম, খুন, হত্যা এবং মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকেও অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করেছে। আমার নেতা তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে দেশে ঢুকতে দেয়নি। শুধু কি তাই, আলেম ওলামাদেরও পাখির মতো গুলি করে মেরেছে। মসজিদের ইমামরাও স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেনি। এসব কিছুর জবাব শেখ হাসিনাকে দিতে হবে। এসব কিছুর জবাব কেরামত কাজীকেও দিতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীদের উপর আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই। তবে গুম, খুন, হত্যা এবং নির্যাতনের সাথে যারা জড়িত, তাদের কোনো ছাড় নয়। এসব কিছুর জবাব তাদের সবাইকেই দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের বলি, তোমরা আওয়ামী লীগের মতো হয়ো না। তাহলে তোমাদেরকেও আওয়ামী লীগের পরিণতি ভোগ করতে হবে। শেখ হাসিনা সরকারের ফ্যাসিবাদী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে বিএনপি ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বাধীন হওয়া নতুন বাংলাদেশকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।
জনসভায় পাচুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আ. কাইয়ুমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নঈম আনসারী, সাবেক সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মনজুরুল আলম দুলাল, যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আহসান হাবীব, মো. আকমল হোসেন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সদর উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক কে. এ. সবুর শাহীন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক এ মজিদ বিশ্বাস, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রইচ উদ্দিন ডিউক, সদস্য ও গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুলতান নুর ইসলাম মুন্নু মোল্লা, জেলা যুবদলের সভাপতি খায়রুল আনাম বকুল, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আইয়ুবুর রহমান আয়ুব, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল গফুর মণ্ডল, জেলা মহিলা দলের সভাপতি কুমকুম নজরুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব কাজী মিজানুর রহমান পলাশ, জেলা মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক সোনিয়া আক্তার স্মৃতি, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক এবং পাচুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান রতন প্রমুখ।