যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি ও কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২১ জন। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে আঘাত হানা এই দুর্যোগে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হতাহত এবং নিখোঁজের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার জানিয়েছেন, রাজ্যে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি বলেন, “এটি একটি দুঃস্বপ্নের রাত ছিল। আমরা আশঙ্কা করছি, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং প্রার্থনায় আছি।”
অন্যদিকে মিসৌরিতে মারা গেছেন আরও ৭ জন, যার মধ্যে শুধু সেন্ট লুইস শহরেই প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। শহরটির মেয়র কারা স্পেন্সার বলেন, “আমাদের শহর আজ গভীর শোকের মধ্যে রয়েছে। এই প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।”
উদ্ধারকারী দল ও জরুরি সেবা সংস্থাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা জুড়ে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক এলাকা এখনও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে, ভেঙে পড়েছে গাছ ও বাড়িঘর।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, টর্নেডোটি ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী এবং এর গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার। ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র উঠে আসতে আরও সময় লাগবে বলে তারা জানিয়েছেন।
সরকারি কর্মকর্তারা জনগণকে নিরাপদ স্থানে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং জরুরি সহায়তা পেতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন। দুর্যোগ মোকাবিলায় জাতীয় গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে এবং আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।
এখন পর্যন্ত এটি ২০২৫ সালের সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর একটি বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আপডেটের জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।