বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী মো. সাগর হত্যাকাণ্ডের মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এদিন সকালে রিমান্ড শেষে মমতাজ বেগমকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। মমতাজের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান লিংকন তার জামিন আবেদন করেন। তিনি দাবি করেন, মমতাজ বেগম এজাহারভুক্ত হলেও তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই এবং তিনি ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত নন। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ, তাই জামিন প্রয়োজন।
তবে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে কঠোর বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি বলেন, “মমতাজ বেগম একজন বিতর্কিত রাজনীতিক। তিনি সংসদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছেন, বিরোধীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, এমনকি সংসদে দাঁড়িয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বলেছেন—‘আপনার বাপের নাম কী? স্বামী কয়জন?’” এ সময় বিচারক তাকে মামলার প্রসঙ্গেই বক্তব্য দিতে বলেন।
উল্লেখ্য, ১২ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে মমতাজ বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে আজ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এই মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মী মো. সাগরকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মমতাজ বেগমসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।