আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ (পাংশা-বালিয়াকান্দি-কালুখালী) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার কাজী রহমান মানিক।
শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় বালিয়াকান্দি উপজেলার ডাক বাংলোতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন তিনি।
ব্যারিস্টার মানিক বলেন, “রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরুল হক সাবু ভাইয়ের বয়সজনিত কারণে আসনটির নেতৃত্বে একটি শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিএনপির একজন পরীক্ষিত কর্মী হিসেবে আমি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।”
তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিগত ছয় মাস ধরে আমি মাঠে কাজ করছি। ছাত্রজীবন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। শুধু দল করার কারণে পাঁচবার কারাগারে যেতে হয়েছে। আজ আমি ঘোষণা দিচ্ছি—আমি রাজবাড়ী-২ আসনে বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে নির্বাচন করতে প্রস্তুত। যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেয়, আমি নির্বাচন করব। আর যদি অন্য কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তার পক্ষেই কাজ করব।”
প্রার্থী ঘোষণা উপলক্ষে ব্যারিস্টার মানিক কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপির ৩১ দফা দাবির লিফলেট বিতরণ করেন।
ব্যারিস্টার কাজী রহমান মানিক বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়াকান্দি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল হাদীর ছেলে। তিনি ১৯৮৬ সালে এসএসসি ও ১৯৮৮ সালে এইচএসসি প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৯৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএলবি (অনার্স) এবং পরবর্তীতে ইউনিভার্সিটি অব উলভারহ্যাম্পটন থেকে একই বিষয়ের ওপর ডাবল কোর্স সম্পন্ন করেন।
২০১২ সালে তিনি ঢাকা বারের সদস্যপদ লাভ করেন এবং হাসিনা সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “রাজবাড়ী-২ আসনবাসীর জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পদ্মা সেতু নির্মাণ এবং আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলাই হবে আমার প্রধান অগ্রাধিকার।”
প্রার্থিতা ঘোষণার পর দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। এখন সবার নজর দলের চূড়ান্ত মনোনয়নের দিকে।