নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ আরিফুল ইসলামকে লক্ষ করে গুলি করা হয়, গুলি লাগে মনিরুল ইসলাম নামের অপর এক কর্মীর সে ঘটনায় পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা হয় মামলার ঘটনায় পুলিশ একজন এজহার নামীয় ও একজন অজ্ঞাত নামা আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামী সজলসহ অন্যরা ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে। ওই মামলার প্রধান আসামী সন্ত্রাসী সজলসহ একাধিক আসামীকে সেল্টার দিয়ে ছায়া তলে রাখার অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে কর্মরত পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের গোলাবাড়ী গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা বলছেন আবুল কালাম আজাদ একজন মাদক কারবারি ছিলেন, চাকুরী পাওয়ার আগে তিনি এ এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ করেছেন। বর্তমানে সজলসহ ওই সন্ত্রাসী বাহীনির গড়ফাদার হিসাবে কাজ করছেন তিনি, বিভিন্ন সময় এই সন্ত্রাসী গ্রুপকে পৃষ্টপোষকতা দিয়ে নিজ স্বার্থে নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছেন দির্ঘদিন ধরে। এই আজাদের রয়েছে নারী কেলেংকারীর মতন ঘটনা তার জন্য একটি মেয়ে আত্বহত্যার মত পথ বেছে নিতেও দিধাবোধ করেনি, তখন ক্ষমতার দাপটে নানা ভাবে পার পেয়ে গেছে এই আজাদ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ জাকির হোসেন বলেন মোবাইলে ফোন করে আমাকে হুমকি দিয়েছে আমাকে মেরে ফেলতে চাই আমার এলাকার মধ্যে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড চালিয়েছে এ বিষয় নিয়ে আমি কথা বলায় আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলেও জানান। জাকির মেম্বার আরো বলেন- আওয়ামীলীগের সময় এলাকায় মাদক কারবারির সাথে জড়িত ছিল, নিজে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে চাকুরী করার সুবাধে এ লাইনে সে পারদর্শি অসংখ্য প্রমান আছে এলাকায় সে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিল। তৎকালীন মন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের সাথে ছবি তুলে এলাকার মানুষকে নানা ভাবে হয়রানী করেছে, সরকারি চাকুরী করার পড়েও সে দলের নাম করে অসংখ্য অপর্কম রয়েছে তার।
পাংশা থানা পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছেন যুবদলের কর্মীর উপর গুলির ঘটনার মামলার প্রধান আসামীসহ ২ জন আসামীর বিচরণ ঘটনার পর ২ দিন ফরিদপুর ছিল পরে তারা মোবাইল ফোন বন্ধ রাখায় তাদের অবস্থান সনাক্ত করতে সময় লাগছে, পুলিশের ধারনা ও স্থানীয়রা বলছেন ওই আসামীরা ফরিদপুর আজাদের সেল্টারে ছিল তাকে ধরলেই আসল রহৎ উদঘাটন হবে।
এ মামলার এজহার নামীয় ৩ নং আসামী গোলাবাড়ী গ্রামের মোস্তফার ছেলে ওবায়দুর রহমানের সাথে তোলা ছবি ফেসবুকে ভাইরাল এর থেকেই ধারনা করা হয় ওই গ্রুপের সাথে আজাদের সর্ম্পক চমৎকার। তিনি তাদের আশ্রায় দাতা হিসাবে আর্বিভ’ত হয়েছেন। এদিকে মুঠোফোনে ইউপি সদস্য জাকির হোসেনকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, এ ঘটনায় জাকির মেম্বার আইনের আশ্রায় নিবেন বলে জানান।
পুইজোর বাজারের চা বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন- আজাদ এমন কোন অপরাধ মূলক কাজ নেই সে করে নাই, প্রকাশ্যে তিনি অস্ত্র প্রর্দশন করেছে একাধিকবার এই বাজারেই, আওয়ামীলীগে আমলে সে নিজেকে মন্ত্রীর ছেলের আস্থাভাজন বলেও প্রচার করত, তার কারণে আমাদের এলাকার একটি মেয়ের জীবন ধংষ হয়েছে, এসবের বিচার আল্লাহ পাক একদিন করবেই।
পাংশা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন- এই আবুল কালাম আজাদ দির্ঘদিন ধরে সরকারি চাকুরীর আড়ালে তৎকালীন মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলের ক্যাডার হিসাবে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানির সাথে জড়িত ছিল, তাকে আইনের আওতায় এনে এসবের বিচার করা হবে, ইতি মধ্যে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন জায়গায় এই আবুল কালাম আজাদের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে, আশা করি আইনের মাধ্যমে সঠিক বিচার হবে।