ইসলামাবাদ/নয়াদিল্লি, ১১ মে ২০২৫ — সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট সামরিক উত্তেজনার অবসান ঘটাতে অবশেষে কার্যকর পদক্ষেপ দেখা গেছে। শনিবার দুই দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। এই যুদ্ধবিরতির পেছনে কূটনৈতিক তৎপরতা ও বড় শক্তিগুলোর মধ্যস্থতার ভূমিকাই মূল বলে মনে করা হচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই পাকিস্তানের শান্তিপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, “চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও পাকিস্তান সংযম দেখিয়েছে এবং দায়িত্বশীল মনোভাব প্রদর্শন করেছে।” টেলিফোনে ইসলামাবাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে কথোপকথনের সময় তিনি আরও জানান, চীন পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতা রক্ষায় ‘আয়রন ফ্রেন্ড’ হিসেবে পাশে থাকবে।
একই সঙ্গে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর এক্স-এ (পূর্বের টুইটার) জানায়, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন এবং ভবিষ্যতেও সমন্বয় অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
অন্যদিকে, এই যুদ্ধবিরতির পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় মধ্যস্থতার ভূমিকাও সামনে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতব্যাপী আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণাঙ্গ এবং তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। উভয় দেশকেই সাধারণ জ্ঞান এবং বুদ্ধিমত্তার জন্য অভিনন্দন।”
এই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর আলাদাভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দু’দেশই জানায়, দিনভর চলা কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও আলোচনার ফলেই এই সমঝোতা সম্ভব হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি একটি তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিধর দেশগুলোর সক্রিয় ভূমিকা ভবিষ্যতেও এমন সংকট প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।